সংক্ষিপ্ত

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের হয়ে এবার অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা বলছেন ভিটালি ক্লিটসকো। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ছিলেন। শুক্রবারই ইউক্রেনের সেনা বাহিনী কিয়েভ দখল করেন। তিনি বলেছেন এবার আর তাঁদের কোনও উপায় নেই। এবার তাঁকে অস্ত্র তুলে নিতেই হবে। তিনি আরও বলেছেন ৫০ বছর বয়সেও তিনি লড়াই করবেন। 

যুদ্ধের দামামা বাজিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। রাশিয়ার মত শক্তিশালী দেশের আক্রমণে বিপর্যস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) মত ছোট্ট একটি দেশ। এই অবস্থায় আর হাতে হাত রেখে বসে থাকতে নারাজ ভিটালি ক্লিটসকো (Vitaly Klitschko)। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রাক্তন মেয়ের তিনি। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে- তিনি হলেন প্রাক্তন হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন । সেই ভিটালি ক্লিটসকো এবার রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেবেন। তবে তিনি একা নন। পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ভাই ও সহকর্মী ওয়ার্ল্ড বিটার ভ্লাদিমিরকেও। 

বৃহস্পতিবা রাশিয়ার আকাশ, স্থলসীমান্ত ও  জলপথে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েয়েছ। প্রচুর মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বোম্ব শেল্টারে। 

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের হয়ে এবার অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা বলছেন ভিটালি ক্লিটসকো। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ছিলেন। শুক্রবারই ইউক্রেনের সেনা বাহিনী কিয়েভ দখল করেন। তিনি বলেছেন এবার আর তাঁদের কোনও উপায় নেই। এবার তাঁকে অস্ত্র তুলে নিতেই হবে। তিনি আরও বলেছেন ৫০ বছর বয়সেও তিনি লড়াই করবেন। 


তিনি আরও বলেছেন কিয়েভ হুমকির মধ্যে ছিল। এই অবস্থায় তাঁর প্রথম কর্তব্য ছিল শহরের নাগরিকদের জল বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিষেবা-সহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি চালু রাখা। আর তা করতেই তিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ে কাজ করেছেন। এবার সাধারণ মানুষ সৈন্য হিসেবে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে কিয়েভকে রক্ষা করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, 'আমি ইউক্রেনকে বিশ্বাস করি, আমার দেশকে বিশ্বাস করি আর দেশের নাগরিকদের বিশ্বাস করি। '

প্রাক্তন হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ভ্লাদিমির ক্লিটসকো চলতি মাসের শুরুতেই ইউক্রেনের রিজার্ভ সেনাবাহিনীতে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। বলেছিলেন তাঁর দেশের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে দেশের হয়ে যুদ্ধ করার কথা বলছে। তিনি বলেন ইউক্রেন শক্তিশালী দেশ। তবে দেশের মানুষকে একটি কঠিন অগ্নিপরীক্ষার সামনে দাঁড়া করিয়েছে দিয়েছে। শান্তি ও সার্বভৌম্যের জন্য ইউক্রেনের জনগণ সর্বদাই চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ানদের তাঁরা ভাই বলেও মনে করেন। তবে তিনি আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের বাসিন্দারা যুদ্ধ চায় না। তেমনি তারা পরাধীন হতেও চায় না। ইউক্রেন বরাবরই গণতন্ত্রের পথে চলে। 

জীবন বাজি নিয়ে ইউক্রেন ছাড়ল ৪৭০ ভারতীয় পড়ুয়া, মুক্তির পথ রোমানিয়া ও হাঙ্গেরি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্য বাঁচাতে রুপি অ্যাকাউন্ট স্থাপনের চেষ্টা ভারতের
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার, ভারতের পাশে পোল্যান্ড