সংক্ষিপ্ত

  • আমেরিকায় ভিসা পেতে আবেদনকারীকে জমা দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত তথ্য
  • এমন নিয়মই চালু করতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন
  • দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার্থে এই নিয়ম বাধ্যতামুলক করা হবে বলে খবর

পড়াশোনা হোক কিংবা ভ্রমণ- যে কাজেই যাওয়া হোক না কেন, এবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করার সময়ে আবেদনকারীকে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। এমন নিয়মই চালু করতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে যাঁরা সে দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করবেন, তাঁদেরকে বাধ্যতামুলকভাবে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, যেমন- ইউজার আইডি, পুরনো ই-মেল আইডি, পূর্বে ব্যবহৃত ফোন নম্বর ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য ভিসা আবেদনকারীকে জমা দিতে হবে। এরপর সেইসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে ওই আবেদনকারীকে ভিসা দেওয়া হবে কি না। 

কেন বাধ্যতামুলক করা হল এই নিয়ম?- বলা হচ্ছে, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার্থে এই নিয়ম বাধ্যতামুলক করা হল বলে জানানো হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে কেউ যদি এই বিষয়ে ভুল তথ্য পেশ করেন, তাহলে ভবিষ্যতে ওই ব্যক্তি আর কখনওই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। 

শর্ট স্কার্ট পরে অফিসে এলে মহিলারা পাবেন বোনাস, সমালোচনার মুখে কোম্পানী

এক মনে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন- এই ভিডিও দেখলে চমকে উঠবেন

এই নির্দেশিকাটি জারি করা হয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। কিন্তু সেই সময়ে প্রায় ১৫ মিলিয়ন বিদেশির যাঁরা ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই সেই সময়ে এই আইন প্রবর্তন করা হয়নি। তবে এই নিয়ম কিন্তু প্রথম নয়। এর আগে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত স্থান থেকে যেসব মানুষ আমেরিকায় যেতেন, তাঁদের ভাল করে স্ক্রুটিনি করার জন্য তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া, ই-মেল এবং ফোন নম্বর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য খুঁটিয়ে দেখা হত। প্রতি বছর প্রায় ৬৫,০০০ মানুষ এই স্ক্রুটিনির আওতায় পড়েন। তবে এবার থেকে সার্বিকভাবে লাগু হতে চলেছে এই নিয়ম। তবে কোনও দেশের সরকারি প্রতিনিধি এবং কূটনীতিবিদরা এই নিয়মের আওতায় পড়বেন না।