সংক্ষিপ্ত
বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। কিন্তু জো বাইডেনের দেশে যে সবকিছু ঠিকঠাক নেই, সেটা বিভিন্ন ঘটনায় প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে।
ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে মিল্কশেকের অর্ডার দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটার এক বাসিন্দা। তিনি বাড়িতে বসেই পেয়ে যান একটি ভর্তি কাপ। সেই কাপে কী আছে পরীক্ষা না করেই খেয়ে নেন ওই ব্যক্তি। সেই তরল পদার্থ মুখে দেওয়ার পরেই বুঝতে পারেন, মিল্কশেক নেই। তার বদলে আছে মূত্র। অর্থের বিনিময়ে মূত্র পেয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ওই ব্যক্তি। তিনি ডেলিভারি বয়কে ফোন করে ডাকেন। ওই ডেলিভারি বয় ফিরে এলে তাঁর সঙ্গে বচসা শুরু হয়। তখন সংশ্লিষ্ট ডেলিভারি বয় স্বীকার করেন, তিনি ভুল করেছেন। এরপর ফুড ডেলিভারি সংস্থার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান, ওই ব্যক্তি। কয়েকদিন পর তাঁকে কিছু অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মিল্কশেকের পুরো দাম ফেরত দেওয়া হয়নি। বাড়তি কোনও অর্থও দেয়নি ওই ফুড ডেলিভারি সংস্থা।
কাজের চাপে ভুল ডেলিভারি বয়ের!
যে ফুড ডেলিভারি বয় এই ভেজাল তরল পৌঁছে দেন তিনি দাবি করেছেন, কাজের চাপে কয়েক ঘণ্টা শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ পাননি। যে গাড়িতে করে খাবার ডেলিভারি দিচ্ছিলেন, সেই গাড়িতে দু'টি একই রকম দেখতে কাপ রাখা ছিল। তার মধ্যে একটি কাপ ছিল ফাঁকা। সেই কাপেই তিনি প্রস্রাব করেন। মিল্কশেক ডেলিভারি দেওয়ার সময় ভুল করে মূত্রের কাপটি দিয়ে বসেন।
ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনড় ভেজাল তরল প্রাপক
ক্যালেব উড নামে যে ব্যক্তি মিল্কশেকের বদলে মূত্র পেয়েছেন, তিনি সংশ্লিষ্ট ডেলিভারি বয় ও সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। উড বলেছেন, 'আমি যে খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম, সেটা পাওয়ার পরেই খেতে শুরু করে দিই। যে কাপে মিল্কশেক দেওয়া হয়, সেই কাপে স্ট্র দিয়ে চুমুক দিই। এরপরেই আমি বুঝতে পারি, গ্রাহহাব সংস্থার যে চালক আমাকে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন, তিনি মিল্কশেকের বদলে মূত্র দিয়েছেন। আমি ওই চালককে ডেকে পাঠিয়ে দেখাই যে তিনি কী ভুল করেছেন। মিল্কশেকের জন্য আমাকে মোট ২৫ মার্কিন ডলার দিতে হয়েছিল। গ্রাবহাবের পক্ষ থেকে চারদিন পর আমাকে ১৮ মার্কিন ডলার ফেরত দেওয়া হয়। পুরো অর্থ ফেরত দেওয়া হয়নি।'
আরও খবরের জন্য আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Viral Video: 'প্লিজ কেটে পড়ুন!' অতিকায় কালো জন্তুটিকে অনুরোধ করলেন বাড়ির মালিক