সংক্ষিপ্ত
কোভিড -১৯ এর উৎপত্তি ও তৈরির রহস্যভেদ করল মার্কিন গোয়েন্দারা। চিনের পরীক্ষাগারে তৈরি হয়েছে। তবে এখনও প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ খুঁজছে মার্কিন গোয়েন্দারা।
যে ভাইরাস কোভিড-১৯ মাহামারির জন্য দায়ী তা চিনের একটি পরীক্ষাগারেই তৈরি হয়েছিল। মার্কিন মিডিয়ার প্রতিবেদনে তেমনই জাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের গোয়েন্দারা এমনটাই জানিয়েছে। কোভিড মহামারির জন্য গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকান গোয়েন্দাদের দাবি মধ্য চিনের উহানের বাজারে ছিল মহামারির কেন্দ্রবিন্দু। সেখান থেকে উৎপত্তি হয়ে SARS-CoV-2 ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ সালের শেষেক দিকেই উহারেনর একাধিক স্থানে ছড়িয়ে পড়ে SARS-CoV-2 ভাইরাস। তারপর চিনের গণ্ডী অতিক্রম করে বিশ্বের বাকি দেশগুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বর্তমানে মহামারির উৎসটি শিক্ষাবিদ, গোয়েন্দ আর বিশেষজ্ঞ ও আইনপ্রণেতাদের মধ্যে জোরাল বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি- এই ভাইরাসের ফলাফল - কীভাবে ভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছিল সেসম্পর্কে পূর্ববর্তী গবেষণা থেকে সরে এসেছে। ন্যাশানাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর এভ্রিল হেইস্টের অফিসের একিট নথির আপডেট এসেছে। তেমনই জানিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কীভাবে গোয়ান্দারা বিভিন্ন মহামারির উৎস সম্পর্কে ভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। শক্তি বিভাগ ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনে (এফবিআই) মনে করছে ভাইরাসটি সম্ভবত একটি চীনা পরীক্ষাগারে তৈরি। দুর্ঘটনার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই তত্ত্ব জাতীয় গোয়েন্দা প্যানেল সহ অন্যান্য চারটি সংস্থা এখনও বিচার করে যে এটি সম্ভবত প্রাকৃতিক সংক্রমণের ফলাফল ছিল এবং দুটি সিদ্ধান্তহীন।
২০২০ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত বিশ্বের একাধিক স্বাস্থ্য সংস্থা বুঝতেই পারেনি যে কোভিড -১৯ এর সংক্রমণ কী পরিমাণ ভয়ঙ্কর হতে পারে। কারণ প্রথম দিকে দ্রুত ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্য়াক সুলিভান বলেছেন এই রিপোর্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পাঠান হয়েছে। রিপোর্ট মূল্যায়ন করার জন্য জাতীয় পরীক্ষাগারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান যায়নি । তিনি আরও বলেছেন গোয়েন্দারে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। কিন্ত অনেক গোয়েন্দাই বলেছেন তাদের কার্য নির্দিষ্ট পরিমাণে তথ্য প্রমাণ নেই।
তবে এটাই প্রথম নয় এফবিআই আগেই বলেছিল মহামারিটি সম্ভবত ২০২১ সালের একটি পরীক্ষাগার থেকে বেরিয়ে পড়া ভাইরাসের কারণে হতে পারে। তবে তরাও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই দাবি করেনি। যদিও ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল, যেটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত বিশ্লেষণ পরিচালনা করে, এবং চারটি সংস্থা, যা কর্মকর্তারা সনাক্ত করতে অস্বীকার করে, এখনও "নিম্ন আত্মবিশ্বাসের সাথে" মূল্যায়ন করে যে ভাইরাসটি সংক্রামিত প্রাণী থেকে প্রাকৃতিক সংক্রমণের মাধ্যমে এসেছে।
যদিও মহামারি নিয়ে মার্কিন-চিনের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা প্রাদুর্ভাবের জন্য চিনকেই দায়ী করেছিল। পাল্টা চিনের দাবি ছিল ভাইরাসটি সম্পর্কে তারা প্রথম থেকেই বিশ্বাস্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছিল। তারা আরও দাবি করেছিল ভাইরাসটি যে মারাত্ম ছোঁয়াছে হতে পারে সেসম্পর্কেও তারা বিশ্বের একাধিক দেশকে সচেতন করেছিল। তবে এরই মধ্যে মার্কিন জাবি হল কোভিড - ১৯ মহামারিটি চিনের উহানের একটি ল্যাব থেকে লিক করেছিল। ম্যাককাল রবিবার তেমনই একটি বিবৃতি জারি করেছেন।