সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেসব উপহার নিয়ে গেছেন তার মধ্যে রয়েছে একটি বই। বাইডেনের প্রিয় কবির বই উপহার দেন। জিল বাইডেনকে দিয়েছেন সবুজ রঙের হিরে।
র্কিন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও জো বাইজেরের জন্য বিশেষ উপহার নিয়ে গিয়েছেন। একই সঙ্গে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে একটি সবুজ মুক্ত উপহার দিয়েছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রীল জিল। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁদের হাতে উপহার তুলে দেন।
বাইডেনের উপহার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেসব উপহার নিয়ে গেছেন তার মধ্যে রয়েছে একটি বই। বাইডেনের প্রিয় কবি আইরিশ কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসেরর লেখা কবিতার বই। প্রধানমন্ত্রী বাই়ডেনতে বাটলার কবিতার বইয়ের প্রথম সংস্করণের মুদ্রণের একটি অনুলিপি উপহার দেন। লন্ডনের ফ্যাবার অ্যান্ড ফেবার লিমিটেড এই বই প্রকাশ করেছিল। বইটির নাম ‘দশ প্রিন্সিপাল উপনিষদ'। ব্রিটিশ কবির সঙ্গে করিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দূর্দান্ত সম্পর্ক ছিল। বাটলার ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা নিয়ে চর্চাও করেছিলেন। এছড়াও তিনি ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক একটি চন্দন কাঠের বাক্সে রাখা রুপোর ভগবান গণেশের মূর্তি ও প্রদীপ উপহার দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। এটি তৈরি করেছে জয়পুরের দক্ষ কারিগররা। মূর্তি ও প্রদীপটি কলকাতার পঞ্চম প্রজন্মের রৌপ্যশিল্পীদের একটি পরিবারের হাতে তৈরি ।
ফার্স্ট লেডির উপহার
তিনি ফার্স্ট লেডি জিল বিডেনকে একটি ৭.৫ ক্যারেটের ল্যাবে উত্থিত হীরা উপহার দিয়েছেন, যা পাপিয়ার মাচে - বাক্স, যা কার-ই-কালামদানি নামে পরিচিত, এর সঙ্গে মাটির খনিযুক্ত হীরার রাসায়নিক এবং অপটিক্যাল বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রতিফলিত করে।
মোদীর জন্য
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী মোদীকে একটি ভিনটেজ আমেরিকান ক্যামেরা উপহার দিয়েছিলেন। যার সঙ্গে ছিল প্রথম কোডাক ক্যামেরার জর্জ ইস্টম্যানের পেটেন্টের একটি আর্কাইভাল ফ্যাকসিমাইল প্রিন্ট, আমেরিকান বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফির একটি হার্ডকভার বই এবং 'সংগৃহীত'-এর প্রথম সংস্করণের একটি স্বাক্ষরিত কপি। রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা'।
ওয়াশিংটনে মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন সময় বুধবারই ওয়াশিংটন পৌঁছে গেছেন। সেখানে প্রবাসী ভারতীয় সদস্যরা তাঁকে স্বাগত জানান। জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে গার্ড অব অনার প্রদানের পর প্রধানমন্ত্রী উইলার্ড ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যান। সেই হোটেল চত্ত্বরে ছিল প্রবাসী ভারতীয়দের ভিড়। মোদী তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিয়ম করেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের ফ্রি়ডম প্লাজায় মোদীকে স্বাগত জানাতে রীতিমত ভারতীয়দের ঢল নামে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মোদীর নামে স্লোগান ওঠে। প্রবাসী গুজরাটিতে একটি অংশ হোটেলের সামনেই গরবা প্রদর্শন করেন। এটি গুজরাটি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্যদিকে মোদীকে স্বাগত জানাতে প্রবাসী ভারতীয়রা এদিন 'মোদী মোদী', 'ভারতমাতা কি জয় ' আর ' বন্দে মাতরম' স্লোগান তোলেন। প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত।