সংক্ষিপ্ত

সংযুক্ত এবং স্বয়ংক্রিয় ডিভাইসগুলিতে চিনা এবং রাশিয়ান সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা বলছে, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রযুক্তির সাহায্যের পরিমাণ বাড়াচ্ছে। প্রযুক্তি জীবনকে সহজ করে তোলে। কিন্তু লেবাননে পেজার বিস্ফোরণের পর প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। এই কারণেই আমেরিকা এবং ভারত উভয়ই প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্কতা হিসাবে চিন থেকে নিজেদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠকের পর চিন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। সংযুক্ত এবং স্বয়ংক্রিয় ডিভাইসগুলিতে চিনা এবং রাশিয়ান সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা বলছে, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবটি কবে কার্যকর হবে?

উল্লেখ্য আমেরিকাতে চিনা এবং রাশিয়ান সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। বাণিজ্য বিভাগ বলেছে যে সফ্টওয়্যারের উপর নিষেধাজ্ঞা ২০২৭ থেকে কার্যকর হবে এবং ২০৩০ সাল থেকে হার্ডওয়্যারের উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আমেরিকা বলছে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নিষিদ্ধ করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। ইউএস সিকিউরিটি এজেন্সির মতে, বর্তমানে স্মার্টফোন ও গাড়িতে মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, জিপিএস ট্র্যাকিং এবং ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে এআই এবং ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব ডিভাইস বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমেরিকার আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির সাহায্যে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে। অর্থনৈতিক ও আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে।

ভারতে কি অবস্থা?

আমেরিকা বলেছে যে ভালো ব্যাপার হল আমেরিকায় চিনা স্মার্টফোন ও ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা সীমিত। বাকি বিশ্বের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে, আমেরিকা বলেছে যে ইলেকট্রিক গাড়ি এবং স্মার্টফোনের মতো চিনা বৈদ্যুতিক পণ্যগুলি ইউরোপ সহ সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। আমরা যদি ভারতের কথা বলি, তবে বেশিরভাগ চিনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ভারতের শীর্ষ ৫ বিক্রিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ির সেগমেন্টে চিনের প্রবেশ অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে। BYD-এর মতো ইলেকট্রিক গাড়ি কোম্পানি ভারতে খুব একটা সাফল্য পায়নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।