সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি চীন ও আমেরিকার মধ্যে হাওয়া এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশই রাজি হয়েছেন একে ওপরের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় বসতে।দীর্ঘদিনের সংঘাত ভুলে এবার কি তারা বন্ধুত্বের পথে ?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট জিং পিং এর সম্প্রতি সৌজন্য সাক্ষাৎ আলোড়ন সৃষ্টি করলো আন্তর্জাতিক রাজনৈতিকমহলে। চীন ও আমেরিকার দীর্ঘদিনের সংঘাত ভুলে এবার কি তারা বন্ধুত্বের পথে ? উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর সম্প্রতি চীন ও আমেরিকার মধ্যে হাওয়া এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশই রাজি হয়েছেন একে ওপরের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় বসতে। তাদের এই মুখোমুখি বৈঠকে তারা বিশেষত তাইওয়ানের বিরুদ্ধে বেজিংয়ের জোর পূর্বক সামরিক আগ্রাসন, কৌশলগতভাবে ভারতের অধিস্থান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলে বাইডেন এবং শি-এর এই হাই-প্রোফাইল বৈঠক।প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এরা দুজনেই ইন্দোনেশিয়ায় গেছেন জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করতে। উভয় নেতা তাদের মুখোশ ছাড়াই মার্কিন ও চীনা পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে হাত নাড়েন একে অপরকে । এই ঘটনাই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে চিন -আমেরিকার সম্পর্কের বরফ গলছে ।পরবর্তীকালে তাদের বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা হলে সেই ইঙ্এগিত স্ইপস্ত হয়ে আরও । বৈঠকের প্রায় ৩ ঘন্টা পর বাইডেন একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন ,'তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।এটি এখনও একই অবস্থানে রয়েছে ।' চলতি বছরের অগাস্টে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পোলোজির তাইওয়ান সফরের পর কোথাও সকলেরই মনে হয়েছিল যে বেজিংকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করাতেই বিশেষত তার এই সফর । তাইওয়ান, একটি স্ব-শাসিত বিদ্রোহী প্রদেশ যেখানের মানুষ এখন আন্দলন করছেন যাতে তাদের চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে পারেন ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন,' দুই পক্ষ কর্মকর্তারাই এই বিষয়ক আরও নানান আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি কার্যকরী সিদ্ধান্তে আসবেন খুব শীঘ্রই ।দুই দেশের মধ্যে বাক্যালাপ আগস্টে থেকেই স্থগিত ছিল। পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর , প্রতিশোধ নিতে বেইজিং আমেরিকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বাতিল করে।
বাইডেন তখন প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে "দ্বন্দ্ব" খুঁজছেন না। দুই দিনব্যাপী চলা গ্রুপ অফ ২০ বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের এক দিন আগে হাওয়া এই বাইদেন-জিনপিং বৈঠক কি কোনও সমঝোতামূলক রাজনীতির ইঙ্গিত দিচ্ছে ? জানতে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন
সহবাসের সঙ্গীকে খুনের পরেও মাথা ঠান্ডা রেখেছিল প্রেমিক, পরিকল্পনা করেই লোপাট করেছিল প্রমাণ
জোর করে ধর্মান্তরণকে ‘অত্যন্ত গুরুতর বিষয়’ বলে চিহ্নিত করল সুপ্রিম কোর্ট
মিজোরামের হান্থিয়াল জেলার পাথরখনিতে ধ্বস , আটকে বিহারের ১৫ জন শ্রমিক