সংক্ষিপ্ত

মার্কিন সেনেটের দখল ধরে রাখতে পারল জো বাইডেন। দীর্ঘ লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল তাঁর দল ডেমোক্র্যাটরা। তবে আরও দুটি ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে ইঙ্গিত।

 

আবারও বড় জয়ের মুখ দেখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নেভাদায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ক্যাথরিন কর্টেজ মাস্তোর জয়ের পরই মার্কিন সেনেটে প্রয়োজনী ৫০ আসন রয়েছে বাইডেনের দখলে। আর এই জয়ের মাধ্যমেই রিপাবলিকানদের সমস্ত আশা ভরসা আপাতত ধুলোয় মিশে গেল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। যারমধ্যে অন্যতম ছিল মুদ্রাস্ফীত। তাতেই জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা রীতিমত তলানিতে এসে ঠেকেছিল। পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয়তার গ্রাফ চড়ছিল রিপাবলিকানদের। তাতে জয়ের আশা দেখতে শুরু করেছিলেন রিপাবলিকানরা। কিন্তু শেষ হাসে হাসলেন জো বাইডেন।

শনিবার মূল সেনটর বলেছেন নেভদায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ক্যাথরিনের জয়ের ওপরই নির্ভর করছে মার্কিন সেনেটের ভবিষ্যৎ। কারণ তাঁদের প্রয়োজন থিল ৫০টি আসন। এই জয়ের ফলেই মার্কিন সেনেটের পুরো নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতে চলে আসে। কিন্তু যদি ৫০-৫০ হত রেজাল্ট তাহলে ট্রাই-ব্রেকিং ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের। কিন্তু রিপাবলিকানদের হাতে ৪৯টি আসন রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বলতে হবে মার্কিন সেনেটের সদস্য সংখ্যা ১০০। সেনেটের দখল ডেমোক্র্যাটদের হাতে রাখার জন্য তাদের ৫০টি আসনের প্রয়োজন ছিল। কারণে সেনেটে কোনও টাইয়ের ক্ষেত্রে টাইবেকার ভোটটি দেওয়ার একমাত্র অধিকারী ভাইস প্রেসিডেন্টের। মার্কিন সেনেটের দখল ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রশাসনে। কারণ সেনেটের দখল যে দলের হাতে থাকবে তারাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠানিক নিয়োগে বেশি প্রভাব খাটাতে পারবে।

অন্যদিকে ৫০টি সেনেট আসনে রয়েছে ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। জর্জিয়ার সেনেট রেস অবশ্য রান-অফ-এর মাধ্যমে মীমাংসা হবে। সেটি অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরে। আর সেই কারণে জর্জিয়া, নেভোদা আর অ্যারিজোনাতে আগে থেকেই তুমুল লড়াইয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। জর্জিয়াতে যদি ডেমোক্র্যাটরা জেতে তাহলে ৫১টি আসন তাদের হাতে থাকবে। রিপাবলিকানদের দখলে রয়েছে ৪৯টি আসন।

অন্যদিকে অ্যারিজোনায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মার্ক কেলির জয় নিশ্চিত হলেও তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান প্রার্থী ব্লেক মাস্টার্স এখনও হার স্বীকার করেননি। ব্লেকের হয়ে প্রাচারে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ব্লেকের হার কিন্তু ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রভাব ফেলবে। আর সেই কারণে ট্রাম্পও প্রভাব খাটাতে পারে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ আবারও ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন ট্রাম্প। তাই অ্যারিজোনার ভোট ট্রাম্পের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ রিপাবলিকানদের কাছে। তাই এই দল শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে থাকবে বলেও আশা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

বাংলাদেশের আমির-ফতেমার প্রেম কাহিনি, মনে করিয়ে দিল দিলওয়ালে দুলহনিয়ার রাজ আর সিমরানকে

শুভেন্দু অধিকারীর মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে, তৃণমূল 'গেট ওয়েল সুন' লেখা কার্ড পাঠাবে বললেন কুণাল

তুরস্কের রাজধানীর জনবহুল রাস্তায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, ফুটেজ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়