নতুন নির্দেশ অনুযায়ী কোন দেশ তার নাগরিকদের পাসপোর্ট দেওয়ার আগে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী পদক্ষেপ করছে তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের জন্য বিশেষ কড়া পদক্ষেপ নিতে চলছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদে আমেরিকায় প্রবেশের ওপর বাড়তি বিধি নিষেধ আরোপ করা হতে পারে। আগামী সপ্তাহেই এই বিষয়ে কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে বলেও ট্রাম্প প্রশাসন সূত্রের খবর।
যদিও বুধবার সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের তৎপরতার প্রশংসা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তারপরেও কেন পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন তার উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার পরই ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন তিনি মার্কিন নাগরিকদের ভাল আর সুখের জন্যই সিদ্ধান্ত নেবেন। মার্কিন নাগরিকদের করের টাকা অপচয় করবেন না। আর সেই কারণেই আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সেই দেশে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এমন বিদেশি নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য যাচাই আর বাছাই করতেই নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
নতুন নির্দেশ অনুযায়ী কোন দেশ তার নাগরিকদের পাসপোর্ট দেওয়ার আগে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী পদক্ষেপ করছে তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। ট্রাম্পের এই নির্দেশ মেনেই বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা ও নাগরিকদের সম্পর্কে পর্যালোচনার পরই যাবতীয় ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল। তেমনই বলছে একটি সূত্র। ২০১৭ সালে প্রথম বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প সাতটি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলেন, যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। সেই সাতটি দেশের তালিকায় ছিল পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের নাম। ২০১৮ সালে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিল। তবে ২০২১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই জো বাইডেন ওই নিষেধাজ্ঞাটি বাতিল করেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে আমেরিকার বিবেকের উপর কলঙ্কচিহ্ন বলেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আবারও সেই পথেই হাঁটতে শুরু করতে পারেন ট্রাম্প। তেমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। যা নিয়ে গোটা বিশ্বেই আলোড়ন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিশ্বের মানুষের আগে ভাববেন মার্কিন নাগরিকদের কথা। যদিও তিনি প্রকৃত মার্কিন নাগরিকদের কথাও বলেছেন। তাঁর কথায় অবশ্য আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করলেই মার্কিন নাগরিক হওয়া যাবে না।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
