সংক্ষিপ্ত

বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, পরীক্ষা করা সমস্ত প্রাণঘাতী কণার মধ্যে মহাজাতিক রশ্মি সবথেকে বশি উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করেছেন।

 

মার্কিন মহাকাশ গবেষণায় সামনে এসেছে একটি ভয়ঙ্কর তথ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নিউট্রন তারার সংঘর্ষের কারণে পৃথিবীর সমস্ত জীবনের কাছে হুমকি হতে পারে। এই ঘটনা কিলোনোভা নামে পরিচিত। ঘটনাটি মহাবিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী বিস্ফোরক। Space.com এর মতে বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছে এই মহাজাগতিক ঘটনার সময় গামা রশ্মি, মহাজাগতিক রশ্মি ও এক্স-রে এর মত প্রাণঘাতী বিকিরণ প্রকাশের কারণে পৃথিবীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হতে পারে।

বিজ্ঞানী হেইলি পারকিন্স Space.comকে জানিয়েছেন, 'আমরা দেখেছি যে পৃথিবীর প্রায় ৩৬ আলোকবর্ষের মধ্যে যদি একটি নিউট্রন তারার একত্রিত হয়, তার ফলে বিকিরণ একটি বিলুপ্তির স্তরের ঘটনা ঘটতে পারে।' বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অতি ঘন নিউট্রন তারার শক্তিশালী সংঘর্ষ একটি কণা বিস্ফোরণ তৈরি করেয যা আমাদের গ্রহের ওজোন স্তরকে ধ্বংস করবে। ১০০০ বছরের জন্য একটি অতিবেগুনী রশ্মির বিকিরণ হয়। যা এই গ্রহের মানুষদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ।

Viral video: নিউ ইয়র্কের রাস্তায় রহস্যময় সবুজ তরল, উদ্বেগ আমেরিকাবাসীদের মধ্যে

বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, পরীক্ষা করা সমস্ত প্রাণঘাতী কণার মধ্যে মহাজাতিক রশ্মি সবথেকে বশি উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা বলেছেন, মহাকাশের সংঘর্ষ একটি প্রসারিত মহাজাগতিক রশ্মি বুদবুদ গঠনে উৎসাহিত করে। যা তার গতিপথের সবকিছুকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আর যদি তাই হয় তাহলে পৃথিবীতে অত্যন্ত শক্তিশালী, চার্জযুক্ত কণার ব্যারেজ ছেড়ে দেবে। বিজ্ঞানীদের অনুমান এটি গামা রশ্মির মতই বিপজ্জনক আর ভয়ঙ্কর। আশেপাশের স্টারডাস্টের সাথে গামা রশ্মির সংঘর্ষের ফলে এক্স-রে নির্গমন হতে পারে, যা পৃথিবীর ওজোন স্তরের উপর একই রকম আয়নাইজিং প্রভাব ফেলে।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি খালিস্তানি নেতা পান্নুনের

তবে বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করে বলেছেন, এই ঘটনার প্রভাব তখনই হবে যখন এই ঘটনার কেন্দ্রস্থল থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ১৬ আলোকবর্ষের মধ্যে থাকবে। তারা আরও বলেছেন, কিলোনোভা একটি বিরল ঘটনা। সৌর শিখা, গ্রহাণুর প্রভাব, এবং সুপারনোভা বিস্ফোরণের মতো আরও বেশ কয়েকটি সাধারণ ঘটনা রয়েছে যেগুলির ক্ষতিকারক হওয়ার আরও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

Gaza Under Attack: হামাসরা সুড়ঙ্গে জাল বিছিয়ে অপেক্ষা করেছে ইজরায়েল সেনাদের জন্য, জানুন তথ্য

Space.comএর তথ্য অনুযায়ী এর আগে ২০১৭ সালে এমন একটি নিউট্রন তারার একীভূতকরণ পর্যবেক্ষণ করেছিল বিজ্ঞানীরা। সেটি প্রায় ১৩০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে ছিল পৃথিবী থেকে। যার ফলে পৃথিবীর ভরের প্রায় ১৩০০ গুণ বেশি কণার একটি স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়েছিল বলেও দাবি করেন অনেক গবেষক। কিলোনোভা প্ল্যাটিনাম, ইউরেনিয়াম এবং সোনার মতো কিছু ভারী উপাদান ছড়িয়ে দিতে পারে।