সংক্ষিপ্ত
দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেই তিনি সবার প্রথম ঘোষণা করেছিলেন- আমেরিকা ও আমেরিকাবাসীর উন্নয়নই তাঁর প্রধান লক্ষ্য (America)। আর সেই লক্ষেই যে ট্রাম্প এগোচ্ছেন সেই প্রমাণ গত ২০ জানুয়ারির পর থেকে একের পর এক কাজের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি (Donald Trump)।
ওয়াশিংটন: দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেই তিনি সবার প্রথম ঘোষণা করেছিলেন- আমেরিকা ও আমেরিকাবাসীর উন্নয়নই তাঁর প্রধান লক্ষ্য (America)। আর সেই লক্ষেই যে ট্রাম্প এগোচ্ছেন সেই প্রমাণ গত ২০ জানুয়ারির পর থেকে একের পর এক কাজের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি (Donald Trump)।
এবার অভিভাবসন নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈধ অভিবাসীদের 'আইনি' সুরক্ষা প্রত্যাহারের পথে হাঁটতে চলেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নীতির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন অন্তত পক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ অভিবাসী। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, ট্রাম্প হয়ত অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বের করে দিতে চাইছেন, তার জন্যই এই আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহারের এই নীতি গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প।
এই বিষয়ে আামেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন অভিবাসীর আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারফলে কোপ পড়তে চলেছে চারটি দেশে। গণহারে বিতারণের ভাবনায় যে দেশগুলির অভিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা হলেন, কিউবা, হাউতি, ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া। মার্কিন সরকার সূত্রে খবর, ২০২২ সালের পর এই চারটি দেশ থেকে যারা আমেরিকায় এসে থাকতে শুরু করেছেন তাদের কাছে আমেরিকার ফেডেরাল রেজিস্টার থেকে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির নোটিস যাবে।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের পর যারা আমেরিকা এসেছিলেন তাঁদের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২ বছর থাকার অনুমতি ছিলো। ফেডেরাল রেজিস্টার থেকে নোটিস পাঠানোর পর আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে এই চার দেশের নাগরিকরা আমেরিকায় অভিবাসী হিসেবে থাকার জন্য আইনি সুরক্ষা হারাবেন।
কিউবা, হাউতি, ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া এই চার দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক স্পনসরের মাধ্যমে আমেরিকার থাকার সুযোগ করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ওয়াকিবহালল মহলের মতে ক্ষমতায় এসে এবার বাইডেনের নীতিগুলিই প্রত্যাহারের পথে হাঁটছেন ট্রাম্প। এদিকে বৈধ অভিবাসীদের 'আইনি' সুরক্ষা প্রত্যাহারের পর তাঁরা আমেরিকায় আর থাকতে পারবেন কিনা সেই বিষয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে কোনও স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে- এই সমস্ত বাসিন্দাদের 'আইনি' সুরক্ষা প্রত্যাহার করে নিলে তাঁদের আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া মোটেও কঠিন কোনও কাজ নয়।
অন্যদিকে, যারা কোনও রকম ভিসা ছাড়াই আমেরিকায় প্রবেশ করেছেন এবং এই দেশে থেকে গিয়েছেন তাঁদের দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য বদ্ধপরিকর ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের এই নয়া নীতির ফলে অভিবাসী বিতারণ যে আরও সহজ হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।