সংক্ষিপ্ত
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে করোনা পরীক্ষার ভয় এক মহিলা টেবিলের তলায় ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু সেখানেও নিস্তার পাননি তিনি। টেবিলের তলায় শুয়ে পড়েছেন এক মহিলা। তারওপর বসে পড়ে এক পুরুষ তার হাত-পা চেপে ধরছে।
চিনকে করোনাভাইরাসের আঁতুড় ঘর হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই দেশের মানুষ কোভিড -১৯ পরীক্ষাকে রীতিমত ভয় পায়। করোনার চতুর্থ তরঙ্গ শুরু হয়েছে চিনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে। সংক্রমণ রুখতে রীতিমত কড়া চিন প্রশাসন। শুরু হয়েছে ট্র্যাকিং আর টেস্টিং। আর তারই বেশ কয়েকটি ভিডিও সামনে এসেছে। তারমধ্যে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেটিজেননদের কথায় পরীক্ষার নামে রীতিমত অত্যাচার করছে চিন সরকার।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে করোনা পরীক্ষার ভয় এক মহিলা টেবিলের তলায় ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু সেখানেও নিস্তার পাননি তিনি। টেবিলের তলায় শুয়ে পড়েছেন এক মহিলা। তারওপর বসে পড়ে এক পুরুষ তার হাত-পা চেপে ধরছে। কোভিড পরীক্ষার জন্য হাঁ করাচ্ছে জোর করে। রীতিমত ধ্বস্তাধস্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় এক পরীক্ষক জোর করে নমুনা সংগ্রহ করছেন। কিন্তু এভাবে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহে মহিলার শ্লীলতাহানি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
তবে এই ভিডিও নিয়ে রীতিমত আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন এভাবে জোর করে কোভিড পরীক্ষা করা যায় না। মানুষকে নিয়ন্ত্রণে আনার কী ভয়ঙ্কর চেষ্টা বলেও এক ব্যবাহারকারী অভিযোগ তুলেছেন। এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী জানিয়েছেন জোর করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য চিনের স্বাস্থ্য কর্মীরা এক বৃদ্ধের বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করছেন। চিনের ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ভিডিওটি চিনের কোথায় শ্যুট করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই বলেছেন লকডাউনের থেকেও কোভিড পরীক্ষা চিনাদের কাছে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড পরীক্ষার জন্য চিনে প্রচুর কড়াকড়ি শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বাড়ছে। সংক্রমণ রুখতে নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে চিনের অন্যতম জনবহুল শহরে। স্তব্ধ হয়ে গেছে জনজীবন। সংহাইয়ের বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বার হচ্ছেন না। এই অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এতটি ভিডিও। যা অবাক করে দিয়েছে নেটিজেনদের। অনেকেই সাংহাইকে ভুতুড়ে শহর হিসেবে তুলনা করেছেন। বিশ্বের সবথেকে জনবহুল শহরের এই করুণ পরিণতি দেখে অবাক হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাংহাইটে প্রায় ২৬ মিলিয়ন মানুষের বাস। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে কেউই বাড়ি থেকে বার হচ্ছে না । বন্ধ রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিও।