সংক্ষিপ্ত
একটি সূত্র বলছে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপেই হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানে। হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধানও নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এক তালিবান নেতা অডিও টেপ ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে রীতিমত গুঞ্জন- তবে কী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকছে তালিবানদের। পাক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ফৈয়াজ হামিদ সম্প্রতি আফগানিস্তানর সফর করেছিলেন। সূত্রের খবর সরকার গঠন নিয়ে পাক গোয়েন্দা প্রধানের হস্তেক্ষেপই তালিবানদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক খারাপ হওযার কারণ। একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অডিওটি। সেখানেই এক তালিব নেতাকে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। সেখানেই তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে তাদের জনপ্রিয়তা নষ্ট করছে।
একটি সূত্র বলছে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপেই হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানে। হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধানও নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে প্রথম থেকেই কিছুটা আপত্তি ছিল তালিবানদের। সেই সূত্র ধরেই তালিবান নেতাকে বলতে শোনা যায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান ফৈয়াদ হামিদ তাদের জন্য নেতিবাচক সমস্যা তৈরি করেছে। যদিও পরবর্তীকালে সেই অডিওটি ফেসবুক থেকে মুছে ফেলা হয়। তবে সরকার গঠন নিয়ে তালিবানদের মধ্যে যে অন্তর্দ্বন্দ ছিল তা স্পষ্ট হয়ে যায় আগেই। কারণ কাবুল দখলের তিন সপ্তাহের মধ্যে তারা সরকার গঠন করতে পারেনি। একাধিকবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়।
Taliban Govt: ৯/১১ হামলার দিনেই সরকার উদ্ধোধন, কী এমন হল যে পিছিয়ে গেল তালিবানরা
9/11: ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার ২০ বছর, স্যাটেলাইট ইমেজে দেখুন হামলার ছবি
কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর তালিবানরা যখন ঘোষণা করেছিল তারা বদলে গেছে। বিশ্বাসঘাতকদের মাফ করবে। আফগান উপজাতি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সরকার গঠন করবে-কিন্তু পরবর্তীকালে এইসব দিক থেকে তারা সরে এসে কট্টরপন্থী সরকার গঠনের দিকেই হাঁটছে। কিন্তু প্রথমে তালিবানদের যা অবস্থান ছিল তা থেকে তারা বর্তমানে অনেকটাই সরে এসেছে। সূত্রের দাবি তালিবানরা না চাইলেও বাকি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীদের জন্য কট্টরপন্থী সরকার গঠনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে তারা।
একটি সূত্র বলছে হামিদ মূলত আফগানিস্তান গিয়েছিলেন হাক্কানি ও কোয়েটা শুরার সদস্যদের মন্ত্রিপরেষদে দাখিল করার ওপর চাপ তৈরি করতে। তাতে তিনি সফলও হয়েছেন। কিন্তু তালিবান সূত্রের খবর পাকিস্তানের এই মনোভাব তাদের পছন্দ নয়। কট্টরপন্থী হলেও বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সরকার গঠনে তারা বদ্ধপরিকর ছিল। অন্যদিকে হাক্কানি প্রধান এখনও পর্যন্ত আমেরিকার ঘোষিত জঙ্গি তালিকায় রয়েছে।