সংক্ষিপ্ত

এই পরিস্থিতির মধ্যেই নিজের দেশকে বাঁচাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দ্বারস্থ হন তিনি। সোমবার সকালে ইইউ-কে তিনি আবেদন করেন ‘অবিলম্বে’ ইউক্রেনেকে যেন সদস্যপদ দেওয়া হয়, কারণ ইউক্রেন বরাবরই পশ্চিমীদেশগুলির পক্ষে। 

সকালেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (European Union) কাছে কাতর অনুরোধ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট (Ukraine President) ভোলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। আর তারপরই সন্ধের দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেনের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য একটি আবেদনে সই করলেন তিনি। ইউক্রেন সংসদের (Ukraine Parliament) তরফে একথা জানানো হয়েছে। 

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তারপর থেকেই ইউক্রেনে হামলা চালাতে শুরু করে রাশিয়া (Russia)। গোলা-গুলি-ক্ষেপণাস্ত্র কোনও কিছুই বাদ যায়নি। হামলার জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক এলাকা। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। ইউক্রেনের একাধিক শহরের দখল নিচ্ছে রুশ সেনা। যদিও যখন রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করেছিল তখন আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মত বেশ কিছু দেশই কড়াভাবে রাশিয়ান অবস্থানের নিন্দা করেছিল। এমনকী, ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু, সেই বিষয়কে গ্রাহ্য না করেই হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর রাশিয়াকে চাপে রাখতে ন্যাটোকে সক্রিয় করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি, ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালেই ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। যদিও সেই সময় বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির তরফে ইউক্রেনকে কোনও সাহায্য করা হয়নি। তা নিয়ে অভিমানের সুর ধড়ে পড়েছিল জেলেনস্কির গলায়। যদিও রাশিয়ার রক্তচক্ষুর সামনে মাথা নত না করে, প্রতিরোধ গড়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনে অস্ত্র তুলে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। শক্তিধর দেশগুলিকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন- আলোচনার টেবিলে রাশিয়া-ইউক্রেন, কিয়েভকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য ন্যাটোর

আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই নিজের দেশকে বাঁচাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দ্বারস্থ হন তিনি। সোমবার সকালে ইইউ-কে তিনি আবেদন করেন ‘অবিলম্বে’ ইউক্রেনেকে যেন সদস্যপদ দেওয়া হয়, কারণ ইউক্রেন বরাবরই পশ্চিমীদেশগুলির পক্ষে। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছিলেন, "আমরা ইইউ-কে আবেদন জানাচ্ছি বিশেষ পদ্ধতিতে ইউক্রেনকে যেন সদস্যপদ দেওয়া হয়। সকল ইউরোপিয়ানরা একত্রে থাকা এবং একসঙ্গে পদক্ষেপ করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমার মনে হয় এই দাবি অন্যায্য নয়। আমি নিশ্চিত এটা সম্ভব।" রাশিয়া হামলা চালানোর পর থেকে ১৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি। আর আহত হয়েছে ৪৫ জন শিশু। পাশাপাশি রাশিয়ার চোখে চোখ রেখে যুদ্ধ জারি রাখার জন্য দেশের নাগরিকদের 'নায়ক' বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। আর স্থানীয় সময় অনুসারে সন্ধের দিকেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে সদস্যপদ পাওয়ার জন্য একটি আবেদনে সই করেন জেলেনস্কি।  

আরও পড়ুন- রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট কি মিটবে প্রিপিয়াত নদীর তীরে, বেলারুশে শান্তি বৈঠকে রাজি কিয়েভ
 
আর এই যুদ্ধ আবহের মধ্যেই আজ ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছিল রাশিয়া। ইউক্রেন প্রিপিয়াত নদীর কাছে বেলারুশিয়ান-ইউক্রেনীয় সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল ইউক্রেন। ইউমধ্যেই সেই বৈঠক শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপর আরও এক দফা আলোচনায় বসবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। পোলিশ-বেলারুশিয়ান সীমান্তে সেই বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন- অপারেশন গঙ্গায় যোগ দিল ইন্ডিগো-স্পাইস জেট-এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস