ইউক্রেনের পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ান বাহিনী। তাই কিয়েভ স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে। বলেছে রাশিয়া দ্রুত এই এলাকায় বড় হামলার চালাতে পারে। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত। এখনও রাশিয়ার হামলা প্রাণপণে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে ইউক্রেন। যুদ্ধের বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা সামনে আনছে ভয়ঙ্কর যুদ্ধের ছবি। রাশিয়া এদিন ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালায় বলে দাবি করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। অন্যদিকে পাল্টা হিসেবে ইউক্রেনও একটি খোলা মাঠে রাশিয়ান ট্যাঙ্কের ওপর হামলা চালিয়েছে- এমন দাবি করে একটি ভিডিও সামনে এসেছে। 

ইউক্রেনের দাবি রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের একটি রাশিয়ান ফ্রিগেট ইউক্রেনের একাধিক পরিকাঠামো টার্গেট করেছে। সেটি টারটি কালিব্র ক্রিজ ক্ষেপণাস্ত্র সালভো নিক্ষেপ করেছে। অন্যদিকে পাল্টা হিসেবে ইউক্রেনও রাশিয়ান ট্র্যাঙ্কগুলিকে নিশানা করেছে। ইউক্রেনের সীমনায় ঢুকে পড়া রাশিয়ার বেশকিছু ট্যাঙ্ক ইউক্রেন ক্ষতি করতে পেরেছে বলেও দাবি করেছে। 

Scroll to load tweet…

অন্যদিকে ইউক্রেনের পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ান বাহিনী। তাই কিয়েভ স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে। বলেছে রাশিয়া দ্রুত এই এলাকায় বড় হামলার চালাতে পারে। তাই প্রত্যেক নাগরিককেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে লুগানস্ক অঞ্চলের গর্ভনর সের্গেই গেইডে বলেছেন সেভেরোডোনেটস্ক শহরটিতে কামার ও রকেট হামলা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাণ বাচানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের বেশ কিছু শহর তছনছ হয়ে গেছে রাশিয়ার হামলায়। বহু ইউক্রেনীয় দেশে ছেড়ে চলে গেছেন শরণার্থী হয়ে। পোল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনীয়দের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।

Scroll to load tweet…

অন্যদিকে ইউক্রেনে হামলার শান্তি হিসেবে রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বার করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আজ রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোট হবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা ন্যাটোর কাছে অস্ত্র চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন এই সময় বন্ধদের থেকে অর্থ ছাড়া অন্য কোনও কিছু চাওয়ার নেই। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ান সেনাদের বুচা শহরে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকে বড় যুদ্ধাপরাধ বলে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু এখনও যুদ্ধ থামানোর কোনও ইঙ্গিত দেয়নি রাশিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যাতে রাশিয়াতেও আর্থিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুতিন যুদ্ধ থামানোর কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। অন্যদিকে হার স্বীকার করতে রাজি নয় কিয়েভ। শান্তি আলোচনায় বসলেও এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র অধরা রয়েছে দুই দেশের কাছেই।