সংক্ষিপ্ত

  • ২ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন
  • উদ্ধার করা হয় সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায়
  • স্বামীর অত্যাচার ঘর ছেড়েছিলেন 
  • যদিও মেয়েরা বলছে সেটি মিথ্যা কথা
     

এরকমও হয়! অ্যাঞ্জেলিকা গাইতানের জীনের গল্প যে কোনও রহস্য উপন্যাসকেও হার মানায়। কারণ ২ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায়। আর তখন সেই মহিলা জীবিত ছিলন। তাঁকে উদ্ধার করেছে ভিসবাল নামে এক জেলে। তিনিই সোশ্য়াল মিডিয়ার মহিলার উদ্ধারের ছবি শেয়ার করেছেন। আর নিমেষেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। 


গাইতানকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তিনি অজ্ঞান ছিলেন। অচৈতন্য অবস্থায় সমুদ্রে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন। আর সেই সময়ই তাঁর ওপর নজর পড়ে ভিসবাল নামে ওই জেলের। তাঁরা দুই বন্ধু নৌকা নিয়ে সমুদ্রে ছিলেন। তাঁরাই গাইতানকে উদ্ধার করেন। আর সেই ভিডিও ফুটেজ সোশ্য়াল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। উদ্ধারের পর জ্ঞান এলে গাইতান জানান তিনি মরে যান সেটা বোধহয় ঈশ্বর চাননি। তাই তাই শত চেষ্টার পরেও তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। উদ্ধারের পর প্রাথমিক পরিচর্যা করেন উদ্ধারকর্তারা। সেই ছবিও মন কেড়ে নিয়েছে নেটিজেনদের। 


২০১৮ সালে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঘর ছেড়েছিলেন ৪৬ বছরের গাইতান। তাঁর অভিযোগ তাঁর স্বামী তাঁকে হত্যারও চেষ্টা করেছিল। দুই মেয়ে থাকায় তাঁদের ছেড়ে যেতে চাননি বলে দীর্ঘ ২০ বছর  ধরেই অত্যাচার সহ্য করেছিলেন তিনি। একাধিকবার পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। গৃহস্থ হিংসা সহ্যের সীমার বাইরে চলে যাওয়ায় তিনি একদিন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে দিন কাটত। একদিন নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্যই সমুদ্রে ঝাঁপ দেন গাইতান। তারপর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। যথন দুই ব্যক্তি তাঁকে উদ্ধার করে তখন জ্ঞাণ আসে তাঁর। কিন্তু গাইতানের মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তবে জানিয়েছেন গত দুবছর ধরে তাঁরা তাঁদের মায়ের সম্বন্ধে কোনও খোঁজখবর পাননি।  পাশাপাশি মাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে।