সংক্ষিপ্ত

ডেল্টার থেকে বেশি সংক্রামক কোভিড ১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েথে বিশ্বজুড়ে। এবার ওমিক্রন নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আশার আলো দেখাল 'হু'। 

বিশ্ব জুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron)। যার প্রথম উৎপত্তি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa)। তারপর থেকে আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতেও প্রতিদিন বাড়ছে করোনার নতুন প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা। যেভাবে বিশ্ব জুড়ে ঝড়ে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন তাতে উদ্বেগ ও  আতঙ্ক ক্রমশই বেড়ে চলেছে। মাঝে কিছুটা সময় সংক্রমণের গ্রাফ অনেকটাই নীচের দিকে থাকায়  স্বস্তি ফিরছিলজন জীবনে। কিন্তু এবার ওমিক্রন সেই  স্বস্তি অনেকটাই ফের কেড়ে নিয়েছে। এ পরিস্থিতি ওমিক্রন নিয়ে ফের বার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। একদিকে সতর্ক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আশার আলোও দেখিয়ে 'হু'-এর আধিকারিকরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেয়াসাস বলেছেন, 'ধারাবাহিকভাবে প্রমাণ রয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ডেল্টার (Delta) থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এবং তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কোভিড ১৯ (Covid 19) -এর ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরা বা সেরে ওঠা ব্যক্তিরাও  সংক্রামিত বা পুনরায় সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।' তবে ভ্যাকসিন প্রাপ্ত ব্যক্তিরা আক্রান্ত হলেও ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ওমিক্রণের বিরুদ্ধে একেবারেই যে কাজ করছে না তা একেবারেই নয়। ভ্যাকসিন কাজ করছে। তাই ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোস সেই সকল ব্যক্তিদের আগে দেওয়া উচিৎ যারা দুর্বল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন,'আমরা বিশ্বাস করি না যে সমস্ত টিকা সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর হয়ে যাবে'। 

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে নতুন তরঙ্গের মুখোমুখি বিশ্বকে কিছুটা আশার আলোও দেখিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করফ থেকে মনে করা হচ্ছে ২০২২ হতে চলেছে সেই বছর যেখানে এই মহামারীর শেষ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত,করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে বিশ্ব জুড়ে ৫.৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। প্রিয়জন হারা হয়েছে বিশ্ব জুড়ে আমাদের কোটি কোটি সহ নাগরিক। 'হু'-এর বক্তব্য অনুযায়ী,  দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রজন্মের ভ্যাকসিনের আবিষ্কারে সঙ্গে এবং আরও উন্নত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য আবিষ্কারের সঙ্গে এই রোগটি খুবই সামান্য রোগে পরিণত হবে। যা সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তবে সব কিছুর জন্য়ই আমাদের নিয়মগুলি মেনে চলা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।