সংক্ষিপ্ত

  • ডে-কেয়ার সেন্টারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
  • তিন বছরের বাচ্চার পেটে পার্মানেন্ট মার্কার দিয়ে লেখা হল
  • লেখা হল, মা আমি ডায়াপার পরে আসিনি
  • ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে ওই কর্মীকে

একরত্তি বাচ্চার অপরাধ ছিল, তার মা তাকে সেদিন ডায়াপার পরিয়ে ডে-কেয়ার সেন্টারে পাঠাননি আর সেই অপরাধেই তার পেটের ওপর পার্মানেন্ট মার্কার দিয়ে লিখে দেওয়া হল, মা, আমি ডায়াপার পরে আসিনি যদিও ঘটনার কথা জানাজানি হতেই কর্তৃপক্ষ ডে-কেয়ার সেন্টারের ওই কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে

হেথার চিসম থাকেন ফ্লোরিডায় তাঁর ৩ বছরের মেয়ে যেত সানিবেলের চিলড্রেনস সেন্টার অব আইল্য়ান্ডেদক্ষিণ কেপ কোরাল থেকে ১৫ মাইল দূরে ওই ডে-কেয়ার সেন্টারটি অবস্থিতওই সেন্টারেই ঘটেছে ঘটনাটিযা সেখানকার সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছেএখনও পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে ওই পোস্ট

নেটিজেনদের উদ্দেশে  চিসম লিখেছেন, "আমি কি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ঠিক করেছি নাকি সাংঘাতিক রেগে গিয়েছিআমি কি  ওভার রিয়্য়াক্ট করেছিআমি সত্য়িই আপনাদের মতামত চাইকারণ আমি কালই স্কুলে গিয়ে এই নিয়ে যা জানানোর জানাবো" ওঁর কথায়, ডে-কেয়ার সেন্টারটি নিয়মিত একটি রিপোর্ট পাঠায়ছেলে মিলোর লাঞ্চবক্স দেখেই চিসম বুঝে যান, ও সেদিন কী মুডে ছিলকোন সময়ে ডায়াপার বদলানো হয়েছেওর সেইসময়ে ডায়াপারের দরকার ছিল নাকি অন্য়কিছুরচিসম এদিন ফেসবুকে লিখেছেন, "আমি একজন সিঙ্গল মাদার পুরো সময়ের একটা চাকরি করি আমার দুজন বাচ্চা রয়েছে স্কুলে রিপোর্টে কী লেখা হচ্ছে প্রতিটা মুহূর্তে আমার পক্ষে তা পড়া সম্ভব নয় এর জন্য় আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে করা  হোক"

চিসমের কথায়, "আমার নিশ্চয় চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল আমি ওর লাস্ট রিপোর্টটা খেয়াল করিনি যেখানে লেখা ছিল ওর ডায়াপারের দরকার ছিল কিন্তু আমি যখন ওকে স্কুলে দিতে যাই, তখন যে দিদিমণিরা ওকে নিয়ে যান ভেতরে, তাঁরা সেকথা আমাকে বলতে পারতেন... আমি আজ দুপুরে ওর ডায়াপার পাল্টে দিয়েছি তখনই আমার চোখে পড়েছে, ওর পেটে মার্কার দিয়ে লেখা রয়েছে, মা আমার ডায়াপার নেই, প্লিজ রিপোর্টটা পড়ো"

চিসমের কথায়, "আমার শুধু একটা প্রশ্ন, এমন কী বড় ঘটনা ঘটল, যার জন্য় ওইটুকু ছেলের পেটে পার্মানেন্ট মার্কার দিয়ে ওই কথা লিখতে হল অন্য়ভাবেও তো আমাকে জানানো যেত"