সংক্ষিপ্ত

যুদ্ধ থেকে বাঁচতে মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। নিহতদের মধ্যে পুরুষের পাশাপাশি মহিলা ও শিশুও রয়েছে।

 

সারা বিশ্বে যেন হিংসা ও যুদ্ধের সময় চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরানের যুদ্ধের পাশাপাশি বাংলাদেশেও হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। এখন মায়ানমারে ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হামলা হয়েছে যাতে বহু প্রাণ গিয়েছে। শনিবার একদল রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের নৌকায় ড্রোন হামলা হয়। এই ঘটনায় প্রায় ২০০ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গিয়েছে। বলা হচ্ছে, যুদ্ধ থেকে বাঁচতে মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। নদীর তীরে এখনও মানুষের লাশ পড়ে আছে। নিহতদের মধ্যে পুরুষের পাশাপাশি মহিলা ও শিশুও রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হামলা সম্পর্কিত একটি ভিডিও পোস্ট করা হলে এই খবরটি প্রকাশ্যে আসে। এই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কাদায় ভরা ক্ষেতে বহু সংখ্যক মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এই সব মৃত দেহেপ আশেপাশে স্যুটকেস ও ব্যাকপ্যাক পড়ে আছে। সূত্রের খবর, এই হামলায় ২০০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।

সর্বকালের সবচেয়ে মারাত্মক হামলা

সংবাদ সংস্থার মতে, এই হামলার চার প্রত্যক্ষদর্শী এই ড্রোন হামলার কথা জানিয়েছেন। হামলার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা পরিবারের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা তাদের প্রিয়জনকে শনাক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছেন।

এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা বেসামরিকদের ওপর চালানো এই হামলাটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক হামলা। যে আরাকান আর্মি এই হামলার পিছনে ছিল, যদিও আরাকান আর্মি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই হামলার জন্য মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়া একে অপরকে দায়ী করছে।

চারিদিকে লাশের স্তূপ

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওটির অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে, যা মায়ানমারের উপকূলীয় শহর মংডুর বাইরে। এই ভিডিওটির সঠিক সময় এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মৃতদেহের স্তূপ মাঠে পড়ে থাকতে দেখা যায়।