সংক্ষিপ্ত

কে বেশি জোরে নাক ডাকে, এই লড়াইতেই মারাত্মক কাণ্ড করে বসলেন এক ব্যক্তি। 

নিশ্চিন্তে ঘুমের সময় নাক ডাকার কারণে প্রত্যেক মানুষই খুব বিরক্ত হন। সেই নাক ডাকার জন্য যাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, অধিকাংশ সময়েই তিনি স্বীকারই করতে চান না যে, তিনি প্রচণ্ড শব্দে নাসিকা গর্জন করে দিব্যি ঘুম দিচ্ছিলেন। ফলত, সেখান থেকেই শুরু হয়ে যায় তর্কাতর্কি। নাক ডাকার জন্য যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়, তা অনেক সময়েই ঝগড়া বিবাদ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে, কিন্তু, তার কারণে প্রাণহানি হতে পারে কি? উত্তরটা হল, ‘হ্যাঁ’। 

-

বিকট বিদঘুটে শব্দে নাক ডাকার কারণে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পাশের বাড়ির আরেক প্রতিবেশী। সেই ঝামেলা শেষমেশ গিয়ে পৌঁছল একেবারে নৃশংস খুনে। ৫৫ বছর বয়সি ক্রিস্টোফার ক্যাসিকে এই খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার পুলিশ।


ক্রিস্টোফার ক্যাসি-র ৬২ বছর বয়সি প্রতিবেশী রবার্ট ওয়ালেস-কে তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ ফুট দূরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পাশের বাড়িতে থাকা ক্রিস্টোফার ক্যাসিকে গ্রেফতার করা হয়, কারণ তাঁর বাড়ির চারপাশে রক্তের দাগ দেখা গিয়েছিল। তারপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সামনেই নিজের দোষ কবুল করে ক্রিস্টোফার ।


-
জানা যায় যে, ১৫ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ নাক ডাকা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের কারণেই প্রতিবেশী রবার্ট ওয়ালেস-এর সঙ্গে তাঁর ঝামেলা শুরু হয়েছিল। দুই প্রতিবেশীই একে অপরের প্রতি প্রচণ্ড বিরক্ত। দুজনের মাঝে তীব্র বিবাদ বেধে যায়।  এরপরেই রবার্ট ওয়ালেসের ওপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৫৫ বছর বয়সি ক্রিস্টোফার ক্যাসি। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তখনই দেখা যায় ছুরির আঘাতে প্রায় রক্তের বন্যার মধ্যে পড়ে রয়েছেন ৬২ বছর বয়সি বৃদ্ধ।