সংক্ষিপ্ত

পৃথিবীতে হু হু করে নামছে অক্সিজেনের মাত্রা। ফলে, নীল গ্রহ থেকে 'মানুষ' নামক প্রাণীটি একসময়ে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল, এই ভবিষ্যত বেশ সন্নিকটে।

বর্তমানে বিশ্বের পরিবেশে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে উষ্ণায়ন। পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণে ধীরে ধীরে উষ্ণতার চরম পর্যায়ে পৌঁছে যেতে চলেছে পৃথিবী। বেশ কিছু বছর ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতার প্রচার শুরু হয়েছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আগামী দিনে সমগ্র বিশ্ব অক্সিজেন শূন্য হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেই সময়টা যে এত দ্রুত ঘনিয়ে আসবে, তা টের পাওয়া যায়নি আগে থেকে।

-

বিগত দশকগুলি থেকে যে হারে গাছ কাটা শুরু হয়েছে, সেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিবেশের ভারসাম্য পালটে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যৎবাণীতেও উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলও ব্যাপকভাবে কলুষিত হয়ে চলেছে। যা আমরা টের পাচ্ছি সকলেই। জলবায়ুও অকৃত্রিমভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে বছর বছর ধরে। বিজ্ঞানীদের একাংশের মত, আগামী কয়েকশো কোটি বছরের মধ্যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে জলে ডুবে নয়।

-

বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, মাত্র কয়েকশো বছরের মধ্যেই পৃথিবীতে হু হু করে কমে যাবে অক্সিজেনের মাত্রা। পৃথিবীর কোন জীবই অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকতে পারেনা। ফলে অক্সিজেন যদি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, তাহলে একে একে সব জীব বিলুপ্ত হতে শুরু করবে। অর্থাৎ,  বর্তমানে ‘শ্বাসরুদ্ধ হয়ে’ মৃত্যুর পথে এগোচ্ছে সমগ্র প্রাণীজগত।

-


বিজ্ঞানীদের অনুমান, আগামী কয়েকশো বছরে হু হু করে অক্সিজেনের মাত্রা কমবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। পরিবর্তে বাতাসে বৃদ্ধি পাবে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ। মিথেন যে কোনও প্রাণীর শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি গ্যাস। সূর্যের ক্রমবর্ধমান ঔজ্জ্বল্যের পাশাপাশি পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও কমে যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তার ফলে পৃথিবীতে গাছও বাঁচতে পারবে না আর। কয়েকশো বছরের মধ্যে উধাও হয়ে যেতে পারে পুরো উদ্ভিদ জগত।

-

উদ্ভিদের অভাব অক্সিজেনের ঘাটতির অন্যতম কারণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে, নীল গ্রহ থেকে 'মানুষ' নামক প্রাণীটি একসময়ে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল, এই ভবিষ্যতও অসম্ভব নয়। 

-

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।