সংক্ষিপ্ত
আফগানিস্তানের শাহর-ই নাও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার আঁতকে উঠলেন 'বিক্ষিপ্ত গুলির শব্দে' . স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের অবশ্যই দাবি যে আফগানিস্তানের রাজধানীর মাঝে একটি চীনাদের বিল্ডিংয়ে চলেছে এই গুলি।
তালিবান দখলের পর থেকেই নড়বড়ে আফগানিস্তানের রাজনীতি। তার উপর আফগানিস্তানবাসীদের উপর তালিবানদের অকথ্য অত্যাচারের প্রতিবাদ, বার বার টলিয়ে দিয়েছে তালিবান সরকারকে। এর মাঝেই কাবুলের ভয়াবহ বিস্ফোরনে আরও আতঙ্ক বাড়ল আফগানিস্তানবাসীর। শাহর-ই নাও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার আঁতকে উঠলেন 'বিক্ষিপ্ত গুলির শব্দে' . স্থানীয় মিডিয়ার দাবি যে রাজধানীর একটি চীনাদের বিল্ডিংয়ে চলেছে এই গুলি। কিন্তু প্রকাশ্যে এমন গোলাগুলি কেন তা স্পষ্ট নয় এখনও
সংবাদ সংস্থা এফপি সূত্রে খবর যে আফগানিস্তানের চীন ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ওই বিল্ডিংয়ে আসতেন।রিপোর্ট অনুসারে কয়েকটি বন্দুকধারী কাবুলের ওই চিনা হোটেলটিতে সোমবার প্রবেশ করে অনৈতিকভাবে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল হোটেলটি দখল করার। সেই কারনেই সকলকে ভয় দেখাতেই গুলি চালিয়েছিল তারা।
টোলো নিউজের এক প্রাক্তন সংবাদদাতা ইতিমধ্যেই এই হামলার ভিডিও শেয়ার করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। যা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে তালিবান শাসিত দেশ আফগানিস্তানকে। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে সশস্ত্র হামলাকারীরা কাবুলের এক জনপ্রিয় হোটেল স্টার-ই-নাউতে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করে।তারপর সেই হোটেলে অনবরত চালাতে থাকে গুলি। বাসিন্দারা গুলির বিক্ষিপ্ত শব্দ পেয়েই প্রথমে খবর দেয় টোলো নিউজকে। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় তালিবানদের নিরাপত্তা বাহিনী। তারা হামলাকারীদের রুখতে চালায় বিশেষ অভিযান।
এবিষয়ে তালিবানদের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তারা মুখ না খুললেও হামলা শেষে আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটের মুখপাত্র জানান যে হামলা শেষ হয়েছে এবং তালিবানরা শক্ত হাতে এই সন্ত্রাসবাদী হামলা দমন করতে কার্যকর হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তিন হামলাকারীর নিহত হবার কথাও প্রথম ঘোষণা করেন তিনি ।
হামলার কারণ স্পষ্ট না জানা গেলেও বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি যে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাবুলে চীনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইউ এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টাঙ্কজাইয়ের সঙ্গে দেখা করার জেরেই ঘটেছে এমন ঘটনা।
হামলার পর, ইসলামিক আমিরাতের একজন মুখপাত্র, জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, "কাবুল শহরের শাহ-ই-নাউ জেলার একটি হোটেলে হামলার জন্য তিন হামলাকারীকে ইতিমধ্যেই পাকড়াও করেছেন তালিবানের নিরাপত্তাবাহিনী।তারা নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে নিহতও হয়েছেন। হোটেলের সকল অতিথিকে রক্ষা করা হয়েছে, এবং কোন বিদেশী নিহত হয়নি। দুই বিদেশী অতিথি নিজেদের জীবন রক্ষার জন্য হোটেল বিল্ডিং থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন।