সংক্ষিপ্ত
অধিকাংশ শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। সেখান থেকেই ৩৭ দিন পরে জীবিত শিশুকে উদ্ধার করা গিয়েছে। রীতিমত অবাক হয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
ভগবান যদি কোন মানুষকে জীবন দেন তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তিই তা কেড়ে নিতে পারবে না। এটা যে শুধু কথার কথা নয়, তা ফের প্রমাণ পেল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা। গাজায় ৩৭ দিন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা এক শিশুকে জীবিত পাওয়া গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই শিশুটির ভিডিও। এটা দেখে নেটিজেনরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই এই ভিডিওটি সামনে এসেছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিন আগে ধ্বংসাবশেষ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। হামাসের হামলার পর, ইজরায়েল গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করে এবং অনেক ভবন ও হাসপাতাল মাটিতে ভেঙে পড়ে। ইজরায়েলি হামলায় গাজায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। যত্রতত্র মৃতদেহের স্তূপ। অবস্থা এমন যে হাসপাতালগুলোতে দেহ রাখার জায়গা ছিল না। অধিকাংশ শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। সেখান থেকেই ৩৭ দিন পরে জীবিত শিশুকে উদ্ধার করা গিয়েছে। রীতিমত অবাক হয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির সময় নিরাপত্তা বাহিনী যখন ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো সরিয়ে নিচ্ছিল, তখন একটি শিশুর কান্নার শব্দ শোনা যায়। একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুর কান্নার শব্দ ভেসে আসে। প্রায় ৩ ঘন্টা পরিশ্রমের পর সেনা যখন ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলে, তখন দেখা যায় শিশুটি একটি বড় পাথরের নীচে নিরাপদে শুয়ে ছিল। শিশুটিকে নিরাপদে দেখে উদ্ধারকর্মীদের আনন্দের সীমা ছিল না।
৩৭ দিন ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা নিষ্পাপ শিশু
ভিডিওতে দেখা যায়, ঘরের মেঝে ভেঙ্গে তার ভেতরে ৩৭ দিন চাপা পড়ে নিষ্পাপ শিশুটিকে। শিশুটিকে দেখে মানুষ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। সবাইকে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে দেখা গেছে। ৩৭ দিন পর শিশুটিকে জীবিত দেখে সবাই অবাক। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সবাই কোলে শিশুটিকে আদর করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে ওই শিশুর ভিডিও শেয়ার করেছেন সিভিল ডিফেন্সের সদস্য এবং ফটোগ্রাফার নোয়া আল শাগনোবি। উল্লেখ্য যে ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েলে হামলা চালায়, তার পরে ইজরায়েল গাজা উপত্যকায় ক্রমাগত ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। ইজরায়েলি হামলায় প্রায় ১৫ হাজার প্যালেস্তানীয় নাগরিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ও মহিলাও রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।