সংক্ষিপ্ত

ঘটনাটিতে ঘটেছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। সেই সময় মা হয়েছিল ক্লিভল্যান্ডের ক্রিস্টেল ক্যান্ডেলারি। কিন্তু একঘেঁয়ে লাগছিল ছোট্ট মেয়েক সঙ্গে থাকাটা

 

মেয়ের বয়স মাত্র দুই মাস। কিন্তু মায়ের আর ভাল লাগছিল না মেয়ের সঙ্গে থাকতে। তাই ছোট্ট দুধের শিশুকে একা রেখেই ১০ দিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলেন মা। এসে দেখে খিদে আর তেষ্টায় প্রাণ ভ্রমরা বেরিয়ে গেছে। মেয়ের এই নির্মম হত্যার জন্য কিন্তু দায়ী মা। তবে নিজেকে বাঁচাতে অনেত চেষ্টাই করেছিল মা। শেষরক্ষা হল না। সম্প্রতি ক্লিভল্যান্ডের আদালত মাতে যাবজ্জীবনকারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তাতে অবশ্য মায়ের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা বলছে একদমই ঠিক হয়েছে। যেমন কর্ম তেমনই ফল।

ঘটনাটিতে ঘটেছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। সেই সময় মা হয়েছিল ক্লিভল্যান্ডের ক্রিস্টেল ক্যান্ডেলারি। কিন্তু একঘেঁয়ে লাগছিল ছোট্ট মেয়েক সঙ্গে থাকাটা। তাই একঘেঁয়েমি কাটাতে ক্রিস্টেল ক্যান্ডেলারি মাত্র ১০ দিনের জন্য ডেট্রয়েট, মিশিগান আর পুয়ের্তোরিকো বেড়াতে গিয়েছিল। মেয়ের সামনে অবশ্য কতগুলি বোতল রেখে গিয়েছিল। কোনওটাতে ছিল জল আর কোনওটাতে ছিল দুধ। তবে মাত্র দুই মাসের মেয়ে নিজে নিয়ে খেতেও পারে না। শেষপর্যন্ত খিদে আর তেষ্টায় কাঁদতে কাঁদতে মারা যায়।

যদিও মা বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পায়। কিন্তু নিজকে বাঁচাতে দ্রুত ৯১১ এ ফোন করে। পাশাপাশি মেয়ের খাট পরিষ্কার করে ফেলে। মেয়েদের জামাকাপড়ও বদল করে দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষপর্যন্ত চিকিৎসক বুঝতে পারেন কোনও অঘটন ঘটেছে। তাই দ্রুত তদন্ত শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ

জল-স্পর্শেই কি হাত-পা চুলকায়? সাবধান , আপনি এই বিরল রোগে আক্রান্ত হননি তো

'পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের স্তরে নিয়ে গেছে', সিঙ্গাপুর থেকে হুঁশিয়ারি ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

Maldives: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ঘুর গেলেন ৩৬০ ডিগ্রি! মহম্মদ মুইজ্জু বন্ধু বলে হাত পাতলেন ভারতের কাছে

তদন্তেই পুলিশ জানতে পারে ক্রিস্টেল ক্যান্ডেলারিকে তার প্রতিবেশীরা ৬ জুন ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখেছিল। আর বাড়ি ফিরতে দেখেছিল ১৬ জুন। ১০ দিন বাড়িতে একা একা ছিল মেয়ে। তবে ক্রিস্টেল যাওয়ার মাত্র এক দিন পরেই তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল বলেও অনুমান করেছিলেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে তারা দেখেছিল যথেষ্ট অযন্তেই মেয়েকে রাখত ক্রিস্টেল। তাদের কথায় পশুপাখিরাও এর থেকে বেশি যত্ন নেয়। মেয়ের ওজন মাত্র দুই মাসেই কমে গিয়েছিল সাত পাউন্ড। তথ্য আর প্রমাণের ভিত্তিতেই ক্রিস্টেলকে সাজা শোযান।

যদিও সাদা ঘোষণার পরে প্রসিকিউটর ওম্যালি ক্লিভল্যান্ড ডিভিশনের পুলিশ প্রধান ডরোথি টড ক্রিস্টেলের মেয়ে জেনিলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তাদের কথায় একজন মা এটা কীভাবে করতে পারে! পাশাপাশি মায়ের কড়া সাজার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে ক্রিস্টেল তার কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন তিনি ডিপ্রেশনের রোগী। তাই এই ভুল। কিন্তু আদালত কোনও কথা না শুনে মাকে মেয়ে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত করে কঠিন সাজা দিয়েছেন।