সংক্ষিপ্ত

মহম্মদ মুইজ্জু আরও বলেছেন, ভারত থেকে বড় অঙ্কের টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। অতীতে যারা দেশের দায়িত্বে ছিলেন তারাও ঋণ নিয়েছিলেন।

 

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিজেকে ভারত বিরোধী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। মালদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এবার সেই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন। এবার নিজেকে ভারত ঘনিষ্ট বলে দাবি করে নতুন দিল্লির থেকে ঋণ মকুবের আর্জি জানালেন তিনি। গত বছরের শেষ দিকে ভারত থেকে প্রায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল মালদ্বীপ। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,৯০০ কোটি টাকা।

গত বছর রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। তারপর থেকেই তিনি চিনের কাছাকাছি গিয়েছিলেন। চিনপন্থী মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ভারতের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রথম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ভারত সর্বদাই মালদ্বীপের পাশে থেকেছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সর্বাধিক সংখ্যাক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। তিনি আরও বলেছেন, ভারত মালদ্বীপের ঘনিষ্ট মিত্র। আগামী দিনেও দুই দেশ একে অপরের পাশে থাকবে।

মহম্মদ মুইজ্জু আরও বলেছেন, ভারত থেকে বড় অঙ্কের টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। অতীতে যারা দেশের দায়িত্বে ছিলেন তারাও ঋণ নিয়েছিলেন। সেই কারণে তাঁরা আলোচনা করেছেন যাতে ঋণ মেটানোর ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও নরম পদক্ষেপ করা হয়। তিনি আরও বলেন, এর প্রভাব যাতে কোনও ভাবেই কোনও প্রকল্পে না পড়ে তার জন্যও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের আশা ভারত এই ঋণ মেটানোর বিষয়ে তাদের সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি বিষয়টি সহজ করে দেবে। মহম্মদ মুইজ্জুের আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইব্রাহিম মহম্মদ। তিনি ভারতের বন্ধু হিসেবেই নিজেকে পরিচয় দিতেন। সেই সময় ভারত থেকে ১৪ লক্ষ ডলার ঋণ নিয়েছিল মালদ্বীপ। তবে মহম্মদ মুইজ্জু ভারত বিরোধী স্লোগান তুলেই কিন্তু ক্ষমতায় এসেছিলেন। মহম্মদ মুইজ্জু জানান তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, মোদীকে তিনি বলেছেন বর্তমান প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে তিনি চান না। সেগুলি তিনি আরও মজবুত করতে চান।