সংক্ষিপ্ত

ডিনা বোলুয়ার্তের হাত ধরে পেরু পেলো তাদের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি। পেরুর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে জরুরি ভিত্তিতে ইমপিচ করার পরেই বুধবার ক্ষমতায় এসেছেন তিনি।

চারিদিকে মহিলাদের জয়জয়কার। ইরানে মহিলাদের আন্দোলন থেকে শুরু করে পেরুর রাষ্ট্রপতি নিৰ্বাচন সবেতেই মহিলারা বার বার প্রমান করছেন যে যোগ্যতার নিরিখে তারাও কোনো অংশেই কম নন। এর আগেও মহিলাদের যোগ্যতা নিয়ে যতবার প্রশ্ন উঠেছে তারা ততবার অগ্নি পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু মহিলাদের সাফল্য আটকাতে পারেনি কেউই। এবার সেই ধারায় অব্যাহত থাকলো পেরুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে।

বুধবার ইতিহাস বদলে গেলো পেরুর। ডিনা বোলুয়ার্তের হাত ধরে পেরু পেলো তাদের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি। পেরুর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে জরুরি ভিত্তিতে ইমপিচ করার পরেই বুধবার ক্ষমতায় এসেছেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কাস্তিলোকে দু’বার ইমপিচ করার চেষ্টা হয়েছিল।অর্থাৎ দুবার ষড়যন্ত্র করে তার সরকার ভেঙে দেবার চেষ্টা করা হয়। ঠিক সেই কারণেই বুধবার কাস্তেল সিদ্ধান্ত নেন পেরুর বিরোধী শক্তিকে পুরোপুরি ধ্বংস করার । কিন্তু বিরোধী দলের সমর্থকরা ও বহু ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা এর বিরোধিতা করে। কাস্তেল তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেন বহু মন্ত্রী। এরপর জরুরীকালীন নির্বাচন করা হেলো তাতেই রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচিত হন ডিনা বোলুয়ার্ত। জানা যায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন ভোট দেন ১০১ জন। এর বিরুদ্ধে ভোট পরে ছ’টি। এই ভোটদানের থেকে বিরত থাকেন ১০ জন।

ডিনা বোলুয়ার্ত ২০২৬ পর্যন্ত তিনি সেই পদে থাকার শপথ নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, তিনি পেশায় আইনজীবী ছিলেন। দীর্ঘদিন ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি অব আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড সিভিল স্টেটাসে কাজ করেন। ২০২১ সালে ৬০ বছরের বোলুয়ার্তে ‘পেরু লিবরে পার্টি’র হয়ে নির্বাচনে লড়েন। নির্বাচনে জেতার পরে তিনি উপরাষ্ট্রপতির পদে দায়িত্ব নেন। ক্ষমতায় এসে তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কাস্তিলোর ক্ষমতায় থাকার কথা ছিল। তাই সেই সময় পর্যন্ত তিনিও ক্ষমতায় থাকবেন। বলেছেন, ‘‘দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে বাচিয়ে আনতে আমি কিছুটা সময় আর সুযোগ চাই।’’