সংক্ষিপ্ত

তুরস্ক ও সিরিয়ায় দুই মিলিয়নেরও বেশি গৃহহীন মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে বসবাস করছে। তুরস্কের ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে এবং এখন ত্রাণসামগ্রী আসছে,তবে সিরিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ।

ট্রমা কাটেনি এখনও। তারই মধ্যে তুরস্কে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার মধ্য তুর্কি অঞ্চলে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (EMSC) অনুসারে ভূমিকম্পটি ১০ ​​কিলোমিটার বা ৬.২১ মাইল গভীরতায় ছিল। তবে ভূমিকম্পের পর কোনো সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

৪৫ হাজার জনের বেশি মানুষ মারা গেছে

তুরস্ক ও সিরিয়ায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের কারণে মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ভূমিকম্পে তুরস্কের প্রায় ২,৬৪,০০০ অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। এগুলোতে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের মধ্যে অনেকেই নিহত বা আহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা পেলেও তাদের সবকিছু শেষ এবং তারা প্রচণ্ড ঠান্ডায় মৌলিক সুবিধা ছাড়া দিন কাটাচ্ছেন।

২ মিলিয়নেরও বেশি গৃহহীন মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে বসবাস করছে

তুরস্ক ও সিরিয়ায় দুই মিলিয়নেরও বেশি গৃহহীন মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে বসবাস করছে। তুরস্কের ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে এবং এখন ত্রাণসামগ্রী আসছে,তবে সিরিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ। ভূমিকম্পে সেখানকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ নেমে এসেছে। এলাকাটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে দিচ্ছে না।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর সিরিয়া এবং দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কে আঘাত হানে দুটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। লক্ষ লক্ষ অসহায় মানুষ কনকনে ঠাণ্ডায় গৃহহীন হয়ে পড়ে রয়েছেন। এই কম্পনের পর বিশ্বজুড়ে অনেকগুলি দেশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করার জন্য কম্বল, খাবার, তাঁবু এবং ওষুধে ভরা ত্রাণ প্যাকেজ পাঠাতে শুরু করেছে।

সিরিয়া এবং তুরস্কের ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৮। তার পর প্রায় ১০০ বার আফটার শকে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক আর সিরিয়া। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ হাজার। সিরিয়ার জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ জানিয়েছেন, ইতিহাসে এর থেকে তীব্র ভূমিকম্প হয়নি তাদের দেশে। অন্তত যবে থেকে ভূমিকম্পের মাত্রা নথিভুক্ত করা হচ্ছে,তার পর থেকে এত তীব্র ভূকম্প সে দেশ দেখেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র আশঙ্কা, এই সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াৎ ওৎকে জানিয়েছেন, এই গাজিয়ানতেপ এবং কাহরামানমারাস এলাকায় ৯০০টি বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। এতটাই ছিল সেই ভূমিকম্পের তীব্রতা।

ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কের ১০টি শহর প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারি হিসাবে ভেঙে পড়েছে ২,৮১৮টি বাড়ি। যদিও বেসরকারি হিসাব বলছে, এর থেকে কয়েক গুণ বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে ভূমিকম্পে। প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে গাজিয়ানতেপের ২২০০ বছরের পুরনো প্রাসাদ।