সংক্ষিপ্ত
গত বছরের নভেম্বরে, ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাবায় ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৪ সালে, সুমাত্রা অঞ্চলে ৯.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যার পরে এই অঞ্চলে ২ লক্ষ ২০ হাজার লোক মারা গিয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার বান্দা সাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৯। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, ইন্দোনেশিয়ান সময় সকাল ১০.২৩ মিনিটে দেশের বান্দা সাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই সাগরে সৃষ্ট ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নিকটবর্তী সৌমলাকি শহর। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, ভূমিকম্পের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সৌমলাকি শহরের এক বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কম্পন ছিল তীব্র। ভূমিকম্পের মধ্যে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।
উল্লেখ্য গত বছরের নভেম্বরে, ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাবায় ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৪ সালে, সুমাত্রা অঞ্চলে ৯.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যার পরে এই অঞ্চলে ২ লক্ষ ২০ হাজার লোক মারা গিয়েছিল। এর মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ছিলেন শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ার।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প হচ্ছে
ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত, যে কারণে সেখানে ভূমিকম্প হচ্ছে। রিং অফ ফায়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয়, কোকোস, ভারতীয়-অস্ট্রেলিয়ান, জুয়ান ডি ফুকা, নাজকা, উত্তর আমেরিকা এবং ফিলিপাইন টেকটোনিক প্লেটকে সংযুক্ত করে। ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, চিলি, ইকুয়েডর, পেরু, রাশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া, বলিভিয়া, কোস্টারিকা, নিউজিল্যান্ড, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অ্যান্টার্কটিকা রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত।
এদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর-পশ্চিম নেপালে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪০ জন নিহত এবং বহু লোক আহত হন। নেপালে ৬.৪ মাত্রার এই ভূমিকম্পের রেশ টের পায় ভারতের দিল্লি-এনসিআর, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারও। এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এখন কানপুর আইআইটি তাদের গবেষণার ভিত্তিতে জানিয়েছে নেপালের পর ভারতে পরবর্তী ভূমিকম্প কোথায় হতে চলেছে। তারা আরও জানিয়েছে, একই জায়গায় বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে, যা বড়সড় বিপদের ঘণ্টা বাজাতে পারে।
জানা গিয়েছে, কানপুর আইআইটির অধ্যাপক জাভেদ মালিক বলেছেন যে নেপালে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয় কারণ নেপাল একটি ভূমিকম্প অঞ্চল। একই স্থানে বারবার ভূমিকম্প হওয়া উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, কম মাত্রার আরও ভূমিকম্প হলে আরও বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। নেপালের মতো ভারতের উত্তরাখণ্ড জোনও ভূমিকম্প সক্রিয়। সেখানেও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।