সংক্ষিপ্ত

২০২২ সালে, চিনের মহাকাশযান চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে মাটি এনেছিল। যা ল্যাবে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করেছেন। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, ওই মাটির কণাতে রয়েছে হিলিয়াম-৩।

আজ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই নিজেকে মহাকাশ শক্তিতে পরিণত করার চেষ্টা করে চলেছে। সম্প্রতি চাঁদ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য চন্দ্রযান-৩ পাঠিয়েছে ভারত। এই সব খবরের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা এমন একটি জিনিস আবিষ্কার করেছেন, যা পৃথিবীর কয়েক হাজার বিদ্যুৎহীন গ্রামকে আলোকিত করে দিতে পারে। তাও পৃথিবীতে নয়, চাঁদে। আসুন গোটা বিষয়টি কী, জেনে নিই।

চাঁদে কি পাওয়ার হাউস তৈরি হবে?

চিনা বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় চমকপ্রদ দাবি করেছেন। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে, চিনের মহাকাশযান চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে মাটি এনেছিল। যা ল্যাবে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করেছেন। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, ওই মাটির কণাতে রয়েছে হিলিয়াম-৩। পৃথিবীতে হিলিয়ামের দাম সবচেয়ে বেশি। এর ১ গ্রাম থেকে ১৬৫ মেগাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। সারা দেশে ৩০ টন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। এক কেজি হিলমে-থ্রি কিনতে প্রায় দেড় মিলিয়ন ডলার খরচ হয়।

চিনা বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদে প্রায় ১.১ মিলিয়ন টন হিলিয়াম-৩ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বিদ্যুৎ তৈরি করলে আগামী ১০ হাজার বছরের জন্য সমগ্র বিশ্বের শক্তির চাহিদা মেটাতে পারে। একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, চাঁদের দক্ষিণ মেরু যেখানে ভারত তাদের অনুসন্ধান পাঠিয়েছে সেখানে হিলিয়াম ৩ সর্বাধিক পরিমাণে রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।

নাসার আর্টেমিস মিশনের প্রথম পর্বের সফল উৎক্ষেপণের পর, চাঁদে মানুষের বসতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। নাসা বলছে, এই দশকের শেষ নাগাদ সেখানে বিজ্ঞানীদের জন্য আবাসন তৈরি হয়ে যাবে এবং তারা সেখানে বসবাস ও কাজ শুরু করবে। তবে এরই মধ্যে চিন একটি নতুন পারমাণবিক ব্যবস্থা (নিউক্লিয়ার সিস্টেম ফর মুন) তৈরি করছে যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নির্মিত হবে।