সংক্ষিপ্ত

মঙ্গল গ্রহ ছাড়াও এবার আরও একটি গ্রহ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এই আবিষ্কার পৃথিবীর বাইরে প্রাণ আবিষ্কারের আশার সাথেও জড়িত।

মহাকাশ অসীম বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে এমন অনেক জগত থাকতে পারে, যার সম্পর্কে ধারণা করাও সম্ভব নয়। বিজ্ঞানের সাহায্যে মানুষ সৌরজগতের গ্রহগুলি সনাক্ত করতে সফল হয়েছে, তবে তাদের অনুসন্ধানও চলছে অবিরাম। বিজ্ঞানীরা একটি বিষয়ের খোঁজ নিরন্তর করে চলেন যে পৃথিবীর বাইরে কোনও গ্রহ বা উপগ্রহে প্রাণের কোনও সন্ধান রয়েছে কিনা। যদিও এতদিন পর্যন্ত সেই সন্ধানে হতাশা ছাড়া কিছুই মেলেনি। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় মিলেছে সাফল্য।

সূর্যকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করা গ্রহগুলির মধ্যে একটি হল মঙ্গল, যা নিয়ে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা দিনরাত অনুসন্ধান করছেন যে এতে প্রাণের চিহ্ন রয়েছে। পৃথিবীর বাইরে প্রাণ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বেশি 'আস্থা' মঙ্গলে। আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা বহু বছর ধরে মঙ্গল গ্রহে তাদের মিশন পাঠাচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি বোঝার জন্য। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গলের জলবায়ু প্রাণের বিকাশের জন্য অনুকূল ছিল।

মঙ্গল গ্রহ ছাড়াও এবার আরও একটি গ্রহ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এই আবিষ্কার পৃথিবীর বাইরে প্রাণ আবিষ্কারের আশার সাথেও জড়িত। নাসার জেপিএল অনুসারে, বিজ্ঞানীরা শনির চাঁদে ফসফরাস খুঁজে পেয়েছেন। এটি তার স্যাটেলাইট এনসেলাডাসে পাওয়া গেছে। এনসেলাডাস হল শনির ষষ্ঠ বৃহত্তম চাঁদ। যাকে বরফের আস্তরণে আবৃত বলা হয়। এখন পর্যন্ত পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো মহাকাশীয় বস্তুর সাগরে এই উপাদানটি পাওয়া যায়নি।

এনসেলাডাসে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস পাওয়া গেছে। এটি বরফের টুকরোতে বিদ্যমান। ফসফরাস জীবনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলা হয়। একে DNA এর মৌলিক উপাদান বলা হয়। নাসা তাদের ক্যাসিনি মিশনের তথ্য দিয়ে এই আবিষ্কার করেছে। এতে অবদান রেখেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক দল। সংস্থাটি বলেছে যে এটি ফসফরাস লবণযুক্ত বরফের দানায় উপস্থিত রয়েছে যা এনসেলাডাস থেকে মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে।

এই চাঁদ সম্পর্কে বলা হয় যে এর পৃষ্ঠের নীচে একটি মহাসাগর রয়েছে। এটি তার দক্ষিণ মেরুতে পাওয়া বরফের ফাটল থেকে জল ছেড়ে দেয়। এটি একটি পালকের মত দেখতে। ২০০৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মিশনের সময় ক্যাসিনি বেশ কয়েকবার এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে গেছে। এখান থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে এই চাঁদে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও জৈব পদার্থ রয়েছে। এর মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিডের উপাদানও পাওয়া গেছে, যা জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত।