সংক্ষিপ্ত
ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে,'গাজার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য এই সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা- ইজরায়েল গাজার নাগরিকদের শহর খালি করার জন্য মাত্র তিন ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। ইজরায়েল সেনা বাহিনী বলেছে, এই তিন ঘণ্টার মধ্যে গাজার উত্তর অঞ্চল খালি করে দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে স্থানীয়দের দক্ষিণ অঞ্চলে চলে যেতে হবে। না হলে গাজার নাগরিরকদের জীবন কখনই রক্ষা পাবে না। ইজরায়েল সেনা গাজায় বড়সড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এদিনই হামাস জঙ্গিদের নিকেশের জন্য স্থলপথে আক্রমণ আরও জোরদার হতে পারে।
ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে,'গাজার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য এই সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী এই সময়ের মধ্যে কোনও সামরিক পদক্ষেপ নেবে না।'পাশাপাশি ইজরায়েল জানিয়েছে আক্রমণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যারমধ্যে রয়েছে স্থল ও নৌপথে আক্রমণের পরিকল্পনা। বিমান বাহিনীও প্রস্তুত করে রেখেছে ইজরায়েল। গাজা দখল করতে ১০হাজারেরও বেশি সেনা বাহিনী পাঠান পরিকল্পনা রয়েছে ইজরায়েলের। সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হামাসরা বারবার দেখিয়েছে তারা কী করতে সক্ষম। ইজরায়েল বাহিনীও যেস হামাসদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে রয়েছে এমনটা নয়। ইজরায়েল আরও বলেছে, সন্ত্রাসবাদের জন্য বিশ্বে কোনও স্থান নেই। ইজরায়েল সেনা বাহিনী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে তাদের টার্গেট শুধুই হামাস জঙ্গিরা। গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই গাজার বাসিন্দাদের অনুগ্রহ করে এলাকা খালি করারও আবেদন জানিয়েছে ইজরায়েল।
সম্প্রতি ইজরায়েল বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, হামাস জঙ্গিরা গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণের দিকে যেতে বাধা দিচ্ছে। হামাসরা মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ ইজরায়েলের।
ইজরায়েল সেনা বাহিনী বলেছে, প্যালেস্টাইনে হামাস গোষ্ঠীকে ধ্বংস করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। আরও বলেছে, এটাই দেশের ইতিহাসে সবথেকে রক্তক্ষয়ী হামলা। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ ৮ দিনে পড়ল। ইজরায়েলে ১৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজায় ইজরায়েলের বিমান হামলায় ২৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি দুই পক্ষের।