চলমান ইসরায়েল- হামাস সংঘর্ষে প্রকাশ্যে এল আরও এক হাড়হিম করা অডিও। 

চলমান ইসরায়েল- হামাস সংঘর্ষে প্রকাশ্যে এল আরও এক হাড়হিম করা অডিও। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই অডিও ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। জনপ্রিয় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই সিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা। ভাইরাল অডিও-এ শোনা যাচ্ছে কিববুতে একটি গণহত্যার জড়িত থাকার স্বীকারক্তি। হামাস সন্ত্রাসীকে নিজের পিতামাতার কাছে গণ হত্যায় জড়িয়ে থাকা নিয়ে গর্ব করতে শোনা যাচ্ছে। গর্বিতভাবে সেই সন্ত্রাসী জানাচ্ছেন ১০ ইহুদিকে হত্যার কথা। আরও ভয়াবহ বিষয় হল এই অডিওটি যার ফোনে নেওয়া হয়েছিল তাঁকেও খুন করেছে এই হামাস সন্ত্রাসী।

Scroll to load tweet…

এই কথোপকথন প্রকাশ্যে আসতেই সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ রূপ নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং শিন বেট এই হাড়হিম করা রেকর্ডিংটি আবিষ্কার করে গাজাউপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ বাস্তবতার উপর আলোকপাত করেছে। জানা যাচ্ছে এক নিহত হামাস সদস্যের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় এই মোবাইল ফোনটি। সেই ফোন থেকেই মেলে এই ভয়াবহ রেকর্ডিংটি। সেখান থেকেই জানা যায় ব্যক্তিটি ইহুদি বেসামরিকদের বিরুদ্ধে একটি জঘন্য গণহত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে নিজের মা বাবাকে গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছেন।

উল্লেখ্য এর আগেও এই হামাসের নৃশংসতার একাধিক নজির সামনে এসেছে। সম্প্রতি নিজের ‘এক্স’ বা টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে ইজরায়েলের সেনা, সেই বক্তব্যে লেখা হয়েছে যে, একজন প্রাণহীন গর্ভবতী মহিলার পেট কেটে বের করে আনা হয়েছে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে। তারপর সেই অপরিণত ভ্রূণের মাথা কেটে মায়ের মৃতদেহের পাশেই ফেলে রেখেছে হামাস জঙ্গিরা।

এই বর্বরতম কাণ্ডের কথা জেনে কার্যত শিউরে উঠছে গোটা বিশ্ব। যদিও ডিজিটাল দুনিয়ায় কোনও সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, এক্স মিডিয়ার গাইডলাইন সংক্রান্ত বাধা থাকার কারণে এই ঘটনার কোনও ছবি প্রকাশ করা গেল না।