সংক্ষিপ্ত

কথা বলার সময় ওই তরুণীকে বারবার ক্যামেরার ওপারে থাকা কোনওকিছুর দিকে তাকাতে দেখা গেছে। এই ভঙ্গিমা দেখে কূটনীতিকদের ধারণা, মিয়া-কে বন্দুকের নলের সামনে ভয় দেখিয়ে এই কথাগুলো বলতে বাধ্য করেছে হামাস।

ইজরায়েলে ভ্রমণকারী জার্মান তরুণীর অবস্থা কী হয়েছিল, তা দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। হামাসের কবলে পড়ে ধর্ষণ, খুন তারপর নগ্ন দেহের ওপর যথেচ্ছ লাথি -ঘুষি -থুতু! হামাস জঙ্গিদের সেই আসুরিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন আরও অনেক তরুণী। সেই দৃশ্য যখন সমগ্র নেট মাধ্যম জুড়ে ভাইরাল, তখনই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি চমকপ্রদ ভিডিও প্রকাশ করল হামাস গোষ্ঠী (Hamas)। 

ইজরায়েলের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত সোহম জেলা এবং শহর। সেখানেই বাস করছিলেন ফ্রান্সের নাগরিক ২১ বছর বয়সি তরুণী মিয়া শেম। ইজরায়েলের দক্ষিণে অবস্থিত স্ডেরোট (Sderot) শহর থেকে তাঁকে অপহরণ করে হামাস বাহিনী। শয়ে শয়ে ইজরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের পণবন্দীদের মতোই অবস্থা হতে পারত মিয়ারও। কিন্তু, তা হল না। হামাসের প্রকাশিত ভিডিও-তে দেখা গেল মিয়া শেম-এর ডান হাতটি ভয়ঙ্করভাবে জখম, তাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে চিকিৎসা করা হচ্ছে। যিনি চিকিৎসা করছেন, তাঁর মুখ দেখা যাচ্ছে না। একটি ঘরের মধ্যে বিছানায় মিয়া শুয়ে আছেন, পেছনে যে রঙের পর্দা, অবিকল সেইরকমই তাঁর গায়ের চাদর, তাঁর চোখে-মুখে স্পষ্ট আতঙ্ক এবং ব্যথা। 

এরপরের একটি ভিডিওতে মিয়া-কে ক্যামেরার সামনে বসে কথা বলতে দেখা যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি গাজায় একজন বন্দী এবং ওরা আমার চিকিৎসা করেছে। আমার উপর একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, যেটা করতে ৩ ঘন্টা সময় লেগেছে এবং সবকিছু ঠিক আছে। আমি শুধু চাই যে, আপনাড়া আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরিয়ে দিন, আমাকে আমার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন, দয়া করে আমাদের বের করুন এখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।’ এই কথাগুলি যথেষ্ট শান্তভাবে বলেছেন মিয়া। তবে, কথা বলার সময় তাঁকে বারবার ক্যামেরার ওপারে থাকা কোনওকিছুর দিকে তাকাতে দেখা গেছে। এই ভঙ্গিমা দেখে কূটনীতিকদের ধারণা, মিয়া-কে বন্দুকের নলের সামনে ভয় দেখিয়ে এই কথাগুলো বলতে বাধ্য করেছে হামাস।