সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবারের হামলায় দুটি বহুতল সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। প্রায় ২২জনকে হত্যা করা হয়েছে।

 

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের বিমান হামলায় বেইরুটে নিহত হয়েছে ২২ জন। অন্যদিকে প্রাণে বেঁচেছে হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি পালিয়ে গেছেন বলে সূত্রের খবর। ইজরায়েলের এই হামলায় হিজবুল্লার সঙ্গে যে সংঘর্ষ চলছে তাকে আরও তীব্র করে তোলে।

গত এক বছর ধরেই ইজরায়েলের বিমান হানা চলছে। যার মধ্যে এটাই ছিল সবথেকে ভয়ঙ্কর। বৃহস্পতিবারের হামলায় দুটি বহুতল সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। প্রায় ২২জনকে হত্যা করা হয়েছে। এই হামলায় দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত রাষ্ট্র সংঘের শান্তিরক্ষীবাহিনীদেরও বিপন্ন করেছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

ইজরায়েলের সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, তাদের টার্গেট ছিল হিজবুল্লাহর লিয়াজোঁ ও সমন্বয় ইউনিটের প্রধান ওয়াফিক সাফা। তাঁকেই হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই কারণেই বিমান হামলা। কিন্তু সাফা বেঁচে যায়। হিজবুল্লাহর আল মানার টিভি জানিয়েছে সাফা নিরাপদে রয়েছে। কিন্তু ইজরায়েলি হামলায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হিজবুল্লাহ সূত্রের খবর, যে বাড়িতে হামলা চালান হয়েছিল সেই বাড়িতে ছিলেন না। বর্তমানে তিনি অন্যত্র রয়েছেন।

হিজবুল্লাহ সূত্রের খবর সাফা গোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিষয়গুলি দেখতেন। হিজবুল্লাহ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিজের হাতে সামলাতেন। তিনি গ্রুপের সামরিক নেতা ও কমান্ডারদের নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করতেন। তাই ইজরায়েল তাঁকেই টার্গেট করেছে।

অন্যদিকে লেবানলের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেইরুটে ইজরায়েলি হামলায় দুটি বহুতল সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়েছে। এই ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১১৭ জন। হামলার কারণে যে দুটি বাড়ি নষ্ট হয়েছে একটি ছিল আটতলা অন্যটি ৪ তলা। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বিমান হানায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্র সংঘ জানিয়েছে ইজরায়েলের এই হামলা সত্ত্বেও রাষ্ট্র সংঘের শান্তিরক্ষীরা বর্তমানে লেবানলেই থাকবে। গত দুই বছর ধরে তারা গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। এটাই সবথেকে ভয়াবহ বলেও জনিয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।