সংক্ষিপ্ত

সোমবার ভোর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাংশ। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

সপ্তাহের শুরুতেই জোরালো আতঙ্ক পাশাপাশি দুই দেশে। ভোর হওয়ার আগেই হঠাৎ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দুটি দেশ। সোমবার ভোর রাতে জোরালো কম্পনে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাংশের মাটি।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১৬ জানুয়ারি ভোররাতে ৪টে নাগাদ ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.১। ভূমিকম্পের তীব্রতা অনেক বেশি হলেও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সুনামির সতর্কতাও এখনও অবধি জারি করা হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর।


 

 

মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাত ৩টে ৫৯ মিনিট নাগাদ ইন্দোনেশিয়ায় উত্তর সুমাত্রা দ্বীপে ভূমিকম্প হয়। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আকেহ প্রদেশের সিংকিল শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.০ ছিল বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই আচমকা তীব্রভাবে কম্পন অনুভূত হতে শুরু করে। ভূমিকম্পের জেরে এখনও অবধি কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর মেলেনি। উপকূল অঞ্চলে সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে ভূমিকম্পের মাত্রা অনেকটাই বেশি হওয়ায়, আফটার শকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রশান্ত মহাসাগরে রিং অব ফায়ারের ওপর অবস্থিত হওয়ায় ক্রমাগত টেকটনিক প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই থাকে। এর জেরে ইন্দোনেশিয়ায় ক্রমাগত ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই থাকে। এর আগে গত ১০ জানুয়ারিও ভূমিকম্প হয় ইন্দোনেশিয়ায়। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কম্পনের ভিডিয়ো দেখেই ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরেছিলেন নেটিজেনরা। এর ঠিক ৫ দিনের মাথায় ফের জোরালো কম্পনের জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দেশের নাগরিকরা।

 



আরও পড়ুন-
মকর সংক্রান্তি পেরিয়েও শীত থেকে বঞ্চিত বাংলা, বৃষ্টি হওয়ার পরেই কি জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে?
‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যথাযথ প্রস্তুত রয়েছে ভারত’, চিন-পাকিস্তানের প্রতি ফের কড়া বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
নেপালের পোখরায় বিমান ভেঙে ৪ ভারতীয়-সহ ৭২ জনের মৃত্যু, অবতরণের সময় পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি