সংক্ষিপ্ত

এই যুদ্ধে আমেরিকা প্রকাশ্যে ইজরায়েলের পাশে রয়েছে। এতে মার্কিন সেনাবাহিনীর কিছু মারাত্মক অস্ত্র ইজরায়েলি সেনাবাহিনী ব্যবহার করবে। হামাস জঙ্গি যারা টানেল তৈরি করছে তাদের নির্মূল করার জন্য একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে।

৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন যে যুদ্ধ হবে। ইজরায়েলের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে হামাস নিজেদের জন্য নরকের দরজা খুলে দিয়েছে। গাজা উপত্যকার সুড়ঙ্গে বসবাসকারী হামাস জঙ্গিদের নির্মূল করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই যুদ্ধে আমেরিকা প্রকাশ্যে ইজরায়েলের পাশে রয়েছে। এতে মার্কিন সেনাবাহিনীর কিছু মারাত্মক অস্ত্র ইজরায়েলি সেনাবাহিনী ব্যবহার করবে। হামাস জঙ্গি যারা টানেল তৈরি করছে তাদের নির্মূল করার জন্য একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি স্ট্রাইক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে।

ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ক্রমাগত বিমান হামলা চালাচ্ছে এবং বেছে বেছে হামাসের ঘাঁটি ধ্বংস করছে। ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষে এ পর্যন্ত উভয় পক্ষই অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমান হামলার পর ইজরায়েলি সেনাবাহিনী শীঘ্রই স্থলভাগেও অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত আড়াই হাজার জঙ্গিকে নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ইজরাইল তার সেনাবাহিনীকে বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছে।

হামাসের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে ইজরায়েল তার পুরো বাহিনী মোতায়েন করেছে। ইজরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় দুই জঙ্গিকে বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছে। ৭ অক্টোবরের হামলার দুই মাস্টারমাইন্ড হলেন হামাসের সামরিক কমান্ডার মুহাম্মদ দেইফ এবং অন্যজন রাজনৈতিক নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তারা দুজনেই বছরের পর বছর তাদের ইচ্ছানুযায়ী হামাসের সংগঠন পরিচালনা করে আসছে।

ইজরায়েল হামাসকে সতর্ক করেছে যে হামাসের সব জঙ্গিকে এখন মৃত বলে বিবেচনা করা উচিত। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইজরায়েলি হামলায় হামাসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ও তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, আমরা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছেছি।