সংক্ষিপ্ত
ভিডিওতে ইজরায়েল সেনা বাহিনীর এক কর্তা দাবি করেছে, আল শিফা হাসপাতালে এমআরআই বিল্ডিংএর একটি অপারেশনাল হামাসের একটি আপারেশনাল সদর দফতর ছিল।
হাসপাতালেরই হামাসের অস্ত্রের ভাণ্ডার- এত দিন ধরে এই দাবি করেছিল ইজরায়েল সেনা বাহিনী। এবার সেই দাবির পক্ষেই তথ্য প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইজরায়েল বাহিনী। ইজরাসের সেনা বাহিনীর ভিডিও প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও এই ভিডিও নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি হামাস।
ভিডিওতে ইজরায়েল সেনা বাহিনীর এক কর্তা দাবি করেছে, আল শিফা হাসপাতালে এমআরআই বিল্ডিংএর একটি অপারেশনাল হামাসের একটি আপারেশনাল সদর দফতর ছিল। সেখানে থেকেই একাধিক রণকৌশল তৈরি হয়েছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ও অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে। আল শিফা হাসপাতাল থেকেই একাধিক যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়েছে বলেও দাবি ইজরায়েলের।
ইজরায়েলি সেনা বাহিনী বৃহস্পতিবারও আল শিফা হাসপাতালে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইজরায়েল সেনা বাহিনীর জাবি একটি হামাসের একটি কমান্ডো সেন্টার। এখানে অনেক হামাস জঙ্গিরাই আশ্রয় নিয়েছিল। যদিও প্যালেস্টইনের দাবি এই হাসপাতালে এখনও ২ হাজার সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। হাসাম পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, ইজরায়েলের বুলডোজারের ধাক্কায় হাসপাতালের দক্ষিণের প্রবেশদ্বারের বেশ কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইজরায়েলের সেনা বাহিনীর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে এক সামরিক মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাসে বলছেন, হামাস যে আল শিফা হাসপাতালে অস্ত্র মজুত করে রেখেছিল তার সব প্রমাণ মজুত রয়েছে তাদের হাতে। বেশ কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, কোনও সন্দেহ ছাড়াই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে আল শিফা হাসপাতালে। তিনি বলেছেন, গ্র্যাব - ব্যাগ, অস্ত্র, গোলাবারুদ রয়েছে। যুদ্ধের সকল সরঞ্জাম এখানে মজুত রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, AK-47, কার্তুজ এবং গ্রেনেডও রয়েছে হাসপাতালে। তবে এই অস্ত্রগুলি কেন হাসপাতালে থাকবে তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা বলেনি হামাস জঙ্গিরা।