সংক্ষিপ্ত

গাজার প্যালেস্টাইনীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গোটা ঘটনাকে একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭৬০।

 

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আবারও নৃশংসতার গল্প লিখল ইজরায়েল সেনা বাহিনী। বৃহস্পতিবার প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার একটি সাহায্য কেন্দ্র এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বাহিনী। তাতে এখনও পর্যন্ত ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭০০র বেশি। গাজা শহরের উত্তর এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরবেলা এই নির্মম ঘটনা ঘটে। ইজরায়েল সূত্রের খবর সেনারা সাহায্য কেন্দ্রে জড়ো হওয়া সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালায়। সেনা বাহিনী মনে করেছিলে সেখানে জড়ো হওয়া জনতা তাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই তারা গুলি চালায়।

গাজার প্যালেস্টাইনেরয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গোটা ঘটনাকে একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭৬০। আহতের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও তাদের চিকিৎসা পরিবেষা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, খাবারের জন্য মরিয়া হয়ে সাধারণ মানুষ গাজা শহরের নাবুলসি এলাকার গোলচত্বরে জড়ো হয়েছিল। সেখানে সাহায্যকারী ট্রাকও এসেছিল। কিন্তু ট্রাক দেখতে পেয়েই মরিয়া মানুষ সেদিকে ছুটে আসে। অন্যদিকে খাবার বোঝাই ট্রাকগুলির কাছেই দাঁড়িয়েছিল দুটি সেনা বাহিনীর ট্যাঙ্কও। সেনা বাহিনী মনে করেছিল উত্তেজিত মানুষ তাদের ওপর চড়াও হতে পারে। তারপরই সেনা বাহিনী গুলি চালাতে শুরু করে নিরীহ মানুষদের লক্ষ্য করে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছিল প্রায় ১ হাজারের বেশি মানুষ খাবারের সন্ধানে জড়ো হয়েছিল।

অন্যদিকে ইজরায়েল সেনা বাহিনী বলেছে গাজায় খাবারের ট্রাকগুলিকে ঘিরে ফেলেছিল সাধারণ মানুষ। তারা খাবার লুঠ করতে উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই কারণে তাদের থামাতেই তারা গুলি চালিয়েছিল। তবে গোটা ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। প্যালেস্টাইনের প্রশাসন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মৃতদেহ সরানো হচ্ছে গাধার পিঠের ওপর চাপিয়ে।

গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় হামাস বাহিনী। তারপর পাল্টা ইজরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে হামাসরা। প্যালেস্টাই প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পাঁচ মাস ধরে চলা যুদ্ধের কারণে বিপর্যস্ত গাজা। একটা সময় পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গাজা খাবার, জল ও ওষুধের সরবরাহ। যদিও এখন তা চালু হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম।