ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত হাটিকোভা হল আশা ও স্থিতিস্থাপকতার গান। এটি ইহুদি জনগণের দীর্ঘ এবং কঠিন যাত্রা এবং তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার স্বপ্নের কথা বলে।

দেশের সেনাকে গলা ছেড়ে সমর্থন করলেন ইজরায়েলের নাগরিকরা। তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমর্থনে বাড়ির বারান্দা থেকে জাতীয় সঙ্গীত 'হাটিকোভা' গাইলেন প্রত্যেকে। অনেক ইহুদিদের জন্য, এই জাতীয় সঙ্গীত তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের একটি স্মারক এবং আশার গান। অনেক ইজরায়েল নাগরিক হামাসের ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যেও দেশে ফিরে যাচ্ছেন এবং এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিচ্ছেন। সেই বীরত্ব ও সাহসিতাকে সম্মান জানিয়ে এই পদক্ষেপ নিলেন ইজরায়েলের নাগরিকরা।

ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত হাটিকোভা হল আশা ও স্থিতিস্থাপকতার গান। এটি ইহুদি জনগণের দীর্ঘ এবং কঠিন যাত্রা এবং তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার স্বপ্নের কথা বলে। গানটি ইজরায়েলি জনগণের শক্তি এবং সংকল্পের একটি স্মারক এবং তাদের নিজেদের এবং তাদের সন্তানদের জন্য একটি ভাল ভবিষ্যত গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেয়।

Scroll to load tweet…

এদিকে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার দাবি করে বলেছে যে প্রায় ১৫০০ হামাস জঙ্গির মৃতদেহ সেখানে পড়ে রয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অপ্রত্যাশিত হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধের চতুর্থ দিনে সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হাতে এসেছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচট বলেছেন, গভীর রাত থেকে হামাসের কোনো জঙ্গি ইজরায়েলে প্রবেশ করেনি। তবে, অনুপ্রবেশ এখনও হতে পারে। গত চার দিনে, ইজরায়েল ৯০০ সেনা ও সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে এবং প্যালেস্তাইন থেকে গাজা এবং পশ্চিম তীরে প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন দ্বন্দ্বের জেরে গৃহহীন লক্ষ মানুষ। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে ইতিমধ্যেই ঘরছাড়ার সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ জনে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার সংগঠন ওসিএইচএ বিবৃতি থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবার থেকে গাজায় হিংসার কারণে ঘরছাড়া এক লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ জন। এই মুহূর্তে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নানা কেন্দ্রে। তাঁদের মধ্যে তিন হাজার মানুষ ইজরায়েল-হামাসের সংঘর্ষের কারণে আগে থেকেই ঘরছাড়া।