সংক্ষিপ্ত

শনিবার থেকে এপর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যস্ত গোটা দেশ। ইসরায়েল জানিয়েছে তাদের দেশে ৯ সেপ্টেম্বরের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

 

হামাসের আক্রমণে লন্ডভন্ড ইসরায়েল। শনিবার থেকে এপর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যস্ত গোটা দেশ। ইসরায়েল জানিয়েছে তাদের দেশে ৯ সেপ্টেম্বরের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার থেকে এপর্যন্ত হামাসরা কমপক্ষে ৫ হাজারেরও বেশি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। একদিকে যখন হামাসরা ইসরায়েলকে টার্গেট করেছে তখন লেবাননও আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে। সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহ ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালিয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে কী চায় হামাস জঙ্গিরা? কেন তারা এমন নৃশংস হামলা চালাচ্ছে?

হামাসের উত্থান

সংগঠনটি ১৯৮৭ সালে আত্মপ্রকাশ করে। আহমেদ ইয়াসিন ও আবদেল আজিজ আর রান্টিসি মিশরীয় মুলসিমদের একত্রিত করতে এই সংগঠন তৈরি করেছিলেন। হামাস মানে হরকাত আল-মুকাওয়ামাহ আল-ইসলামিয়া, যার অর্থ ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন। 'হামাস' মানে উদ্যম। ১৯৮৮ সালে হামাসের সনদে বলা হয়েছে, প্যালেস্তাইনটে স্বাধীন করাই তাদের লক্ষ্য। ইসরায়েলের পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। কিন্তু ১৯৬৭ সাল থেকে হামাসরা কিছুটা হলেও যুদ্ধংদেহী মনভাব থেকে সরে যায়। যদিও ইসরায়েল কোনও দিনই হামাসদের দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি।

অন্যদিকে হামসা প্রথম থেকেই মার্কিন বিরোধী। হামাসদের ইরান, সিরিয়া, লেবাননের মত কয়েকটি দেশ সমর্থন করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, মিশর-সহ একাধিক দেশ তাদের জঙ্গি বলেই স্বীকৃতি দিয়েছে। যাইহোক ইরানের বিদেশমন্ত্রক বলেছে, হামাসদের এই দখলদারীর পিছনে প্যালেস্টাইনের জনগণের আস্থা রয়েছে। ইরান, সিরিয়া আর ইয়েমেন হামাসের হামলা বীরত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে। শুধুমাত্র কাতার এই পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। আরব লিগ ও জর্ডন ইসরায়েলের নীতির সমালোচনা করেছে। মিশর মরক্কো ও সৌদি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

হামাস বনাম প্যালেস্টাইন

একটা সময় হামাসদের সঙ্গে প্যালেস্টাইনের বিরোধিতা ছিল। ইয়াসির আরাফতের সংগঠন ফাতাহ ছিল হামাসের বিরোধী। ১৯৯০ এর দশকে আরাফতের এই আধা সামরিক সংস্থা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জেহাদের জন্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ফাতাহ সংস্থা হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে আরাফতের মৃত্যুর পর একটি শূন্যস্থান তৈরি হয়। ফাতাহের সঙ্গে গৃহযুদ্ধের পর হামাসরা গাজার দখল নিজেদের হাতে নেয়। তারপর থেকে হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লাগাতার যুদ্ধ করে যাচ্ছে। হামাস নিজেদের ইসলামপন্থী বলে দাবি করলেও ইসরায়েল নিয়ে তাদের ভিন্ন ত রয়েছে। হামাস ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না।