সংক্ষিপ্ত

পাপুয়া নিউগিনির এনগা প্রদেশে প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম একটি গ্রাম কয়েক দিন আগেই ছিল জমজমাট। কিন্তু ভূমিধসের কারণে বর্তমানে তা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

 

ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ পাপুয়া নিউগিনিতে। সোমবার পাপুয়া নিউগিনি রাষ্ট্রসংঘকে জানিয়েছে তাদের দেশে ভূমিধসে চাপা পড়ে রয়েছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের কাছ থেকে। দেশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রসংঘতে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে ভূমিধসে প্রায় ২০০০ মানুষকে জীবিত করব দেওয়া হয়েছে। একটি বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়েছে। মাটি ধসে কোথাও কোথায় আট মিটার পর্যন্ত স্তর তৈরি কয়েছে। কোথাও আবার মাটি ধসে যাচ্ছে ঝর্নার মত। স্থানীয়দের কাছে আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃষ্টি হলে এই ভূমিধস আরও ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। পাপুয়া নিউ গিনির বিশ্বের অন্যতম আর্দ্র জলবায়ু রয়েছে এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে যুক্ত বৃষ্টিপাতের ধরণ পরিবর্তন করা ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

পাপুয়া নিউগিনির এনগা প্রদেশে প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম একটি গ্রাম কয়েক দিন আগেই ছিল জমজমাট। কিন্তু ভূমিধসের কারণে বর্তমানে তা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ধূলিস্যাৎ হয়েছে। প্রচুর মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় মাটি চাপা পড়েছে। দুর্যোগ অফিস বলছে, ভূমিধসের ফলে বাড়ি, খাদ্য, চাষের জমি বড় ক্ষতি হয়েছে। যা দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।

সোমবার রাষ্ট্র সংঘের কর্মকর্তারা চিঠির প্রাপ্তি স্বিকার করেছে। বলেছে পোরগো মাইনের প্রধান জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল রয়েছে। কারণ ল্যান্ডস্ট্রিপটি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই কারণে উদ্ধাকরারী দলও এগিয়ে যেতে পারছে না। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে ভূমিধস এতটাই ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে যা উদ্ধারকারী দল আর জীবিতদের কাছে নতুন করে বিপদ তৈরি করছে।

বিপদ মোকাবিলার জন্য বিপর্যয় বাহিন, সেনা বাহিনী জাতীয় ও অঞ্চলিক উদ্ধারকর্তা সকলেরই সহযোগিতা প্রয়োজন। পাপুয়া নিউগিনি আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতা চেয়েছে। স্থানীয় ও উদ্ধাকরারী দল ভূমিধসের নিচে মৃতদেহ খুঁজতে বেলচা ও কাঠের লাঠি ব্যবহার করছে। ভূমিধসের কারণে মাটির ওপর প্রায় ৮ মিটার স্তর তৈরি হয়েছে। সেখানে পড়ে রয়েছে প্রচুর গাছপালাও।