সংক্ষিপ্ত
রাবাত, কাসাব্লাঙ্কা, এসসাউইরা উপকূলীয় শহরগুলিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। মরক্কো প্রশাসন জানিয়েছে, শহর ও শহরের বাইরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভূমিকম্পে তছনছ মরক্কো। ৬ দশকের মধ্যে এটাই সবথেকে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতি দুর্যোগ। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে দেশটি। দেশের মানুষ এখনও আতঙ্কিত। পর্যটকদের মধ্যেও আতঙ্ক রয়েছে। পর্যটকদের দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় মরক্কোতে। রাত ১১টা বেজে ১১ মিনিটে কেঁপে ওঠে আফ্রিকার এই দেশটি। পর্যটন কেন্দ্র মারাকেশের থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ- পশ্চিমের একটি পাহড়ি এলাকা ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। দক্ষিণের আটলাস পর্বতমালায় ভূমকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। এটি আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এই স্থানের কাছেই রয়েছে তুবকাল ও মরক্কোর একটি স্কি রিসর্ট ও কাইমেডেন।
রাবাত, কাসাব্লাঙ্কা, এসসাউইরা উপকূলীয় শহরগুলিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। মরক্কো প্রশাসন জানিয়েছে, শহর ও শহরের বাইরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৬ দশকের মধ্যে এটাই ছিল সবথেকে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বড়বড় বাড়ি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়রা রীতিমত আতঙ্কিত হয়েছে। এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন আফ্রিকার দেশগুলির মধ্যে এটাই সবথেকে বড় ভূমিকম্প। ১২০ বছরের মধ্যে এটাই সবথেকে বড় কম্পন।
শনিবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭ জনের মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। মৃতরা বেশিরভাগই আল-হাউজ এর বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১২০৪ জনকে। যারমধ্যে ৭২১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওয়ারজাজেট, চিচিউয়া, আজিলাল, ইউসুফিয়া প্রদেশের পাশাপাশি মারাকেশ, আগদির, কাসাব্লাঙ্কা এলাকায় প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মরক্কোর পাশে দাঁড়াবে ভারত। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মরক্কোকে সম্ভাব্য সবধরনের সম্ভাব্য সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মরক্কোর নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে মরক্কোতে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়। তাতে এখনও পর্যন্ত ৬৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জি২০ মঞ্চ থেকে মরক্কোর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি উদ্বোধনী ভাষণে মরক্কোর ভূমিকম্প কথা দিয়েই শুরু করেন। 'এই কঠিন সময়ে বিশ্বের সব দেশই মরক্কোর সঙ্গে আছে। আমরা তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।'