সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর, প্রত্যেক যাত্রীর শরীরের ওজন একটি ডেটাবেসে তাঁদের নাম ছাড়াই রেকর্ড করা হবে। ভবিষ্যতে বিমানের জ্বালানির ক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিমানে ওঠার আগে সাধারণত মাপা হয় যাত্রীদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের ওজন। বিশ্বের সব দেশেই এই নিয়ম চালু রয়েছে। তবে, প্রত্যেক যাত্রীর শরীরের ওজনও যে প্রভাব ফেলে বিমানের জ্বালানি খরচের ওপর, সেই কথা মাথায় রেখে এবার চালু করা হল আর একটি নতুন নিয়ম। নয়া নিয়ম অনুযায়ী এবার থেকে বিমানে ওঠার আগে মেপে দেখা হবে যাত্রীদের নিজের শরীরের ওজনও। এই নতুন বিধি চালু করেছে এয়ার নিউজিল্যান্ড সংস্থা।
সম্প্রতি যাত্রীদের গড় ওজন নির্ধারণের জন্য একটি সমীক্ষা শুরু করা হয়েছে। এই সমীক্ষার অংশ হিসাবে আন্তর্জাতিক বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের ওজন মেপে দেখছে এয়ার নিউজিল্যান্ড। সূত্রের খবর, প্রত্যেক যাত্রীর শরীরের ওজন একটি ডেটাবেসে তাঁদের নাম ছাড়াই রেকর্ড করা হবে। আশ্বাসের কথা এটাই যে, এই ডেটাবেস বিমান সংস্থার কোনও কর্মী বা অন্যান্য যাত্রীদের কারুর কাছে প্রকাশ করা হবে না।
এয়ার নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে যে, যাত্রীদের গড় ওজন জেনে ভবিষ্যতে বিমানের জ্বালানির ক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে, এয়ারলাইন একথা উল্লেখ করেছে যে, সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাত্রীদের নিজস্ব ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। এয়ার নিউজিল্যান্ড আকাশপথে এই দেশের জাতীয় বাহক এবং এর অধীনে মোট ১০৪ টি অপারেটিং বিমান রয়েছে।
অবশ্য, ২০২৩ সালে বিমানে চড়ার জন্য এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০২১ সালেও নিউজিল্যান্ড বিমান সংস্থা দেশের আভ্যন্তরীণ যাত্রীদের শরীরের ওজন মাপা শুরু করেছিল। ২০২৩ সালে এসে আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম চালু করা হল। এয়ারলাইনটি একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, “এখন (মহামারীর পরে) যখন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ আবার আগের পর্যায়ে ফিরে এসেছে এবং চলছে, তখন এটাই আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ওজন করার উপযুক্ত সময়।” উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর আগে, এয়ারলাইনটি প্রত্যেক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ফ্লাইট সহ প্রতি বছর ১৭ মিলিয়নেরও (১ কোটি ৭০ লক্ষ) বেশি যাত্রী নিয়ে উড়ত। বর্তমানে, এয়ারলাইন মুখপাত্র অ্যালিস্টার জেমস একটি ভিডিওতে ব্যাখ্যা করেছেন যে, বিমানের মধ্যে যা কিছু নিয়ে যাওয়া হয়, তার ওজন জানা একটি নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা। তিনি বলেন, “আমরা জানি দাঁড়িপাল্লায় পা রাখা কঠিন হতে পারে। আমরা আমাদের গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, শরীরের ওজনের কোথাও কোনও দৃশ্যমান প্রদর্শন করা হবে না। প্রত্যেকবার নিজের শরীরের ওজন করে, আপনি আমাদের বিমানগুলিকে নিরাপদে এবং দক্ষতার সাথে উড়তে সাহায্য করবেন।”
নতুন নিয়ম চালু করার পর এয়ার নিউজিল্যান্ড তার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে ভ্রমণকারী ১০ হাজারেরও বেশি যাত্রীকে এই সমীক্ষায় অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছে। ২৯ মে থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে অকল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া নির্দিষ্ট ফ্লাইটের গেটে যাত্রীদের ওজন করা হচ্ছে। এয়ারলাইনটি বলেছে যে, এর বিমানে যা কিছু যায় - কার্গো এবং অনবোর্ডের খাবার থেকে শুরু করে হোল্ডে থাকা লাগেজ পর্যন্ত, সবকিছুই ওজন করা হয় এবং গ্রাহক, ক্রু এবং কেবিন ব্যাগের জন্য এটি সমীক্ষার তথ্যের উপর ভিত্তি করে গড় ওজন ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন-
কীভাবে ঘটল করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা? একসাথে ৩টি ট্রেনের ধাক্কা লাগা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন
করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার আগে ভারতে আর কোন কোন ট্রেন দুর্ঘটনা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হয়েছিল? জেনে নিন ১০টি ঘটনা
Leonardo DiCaprio and Neelam Gill: ডেট করছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সাথে, কে এই ভারতীয় নিলম গিল?