সংক্ষিপ্ত

পিয়ংইয়ং বিভিন্ন কৌশলগত ও প্রচলিত অস্ত্র তৈরির ওপর জোর দিয়েছে। তার কয়েক দিন পরেই কিম জং উনের এই অস্ত্র কারখানা সফর গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেছে আন্তর্জাতিক মহল।

 

যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন। কারণ দুই দিন কিম জং উন দেশের অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখেন। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি তৈরির কারখানায় দীর্ঘদিন যেসব অস্ত্রগুলি তৈরি করা হয়েছে সেগুলি নেড়েচেড়ে দেখেন কিম জং উন। দেশের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে প্রয়োজনী আর গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। কিমের পরিদর্শনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, এরিয়াল ভেহিকেলের জন্য ইঞ্জিন। সুপার লার্জ-ক্যালিবার মাল্টিপল-রকেট লঞ্চার এবং ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টর-লঞ্চারগুলির জন্য শেলগুলি খতিয়ে দেখেন।

পিয়ংইয়ং বিভিন্ন কৌশলগত ও প্রচলিত অস্ত্র তৈরির ওপর জোর দিয়েছে। তার কয়েক দিন পরেই কিম জং উনের এই অস্ত্র কারখানা সফর গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেছে আন্তর্জাতিক মহল। বার্তা সম্পাদক কেসিএন-র একটি প্রতিবেদ অনুসারে কিম ব়় ক্যালিবার মাল্টিপল রকেট লঞ্চার শেল তৈরির উন্নত নির্ভুল প্রক্রিয়াকরণ ও আধুনিক অটোমেশনের কথা উল্লেখ করেছেন।

স্বৈরাচারী নেতা বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক কৌশলগত অস্ত্র তৈরি আরও বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী কৌশলগত অস্ত্র তৈরিতে বিল্পব আনার কথাও বলেছেন। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী কিম এই সফরে একাধিক অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে গুলি করেছেন। যার ছবিও তুলেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক দিনে দিনে শক্তিশালী হচ্ছে। দুই দেশ জল ও স্থলে একাধিক ক্ষেত্রে সেনা মহড়া চালাচ্ছে। অগাস্টের শেষের দিকেও দুই দেশের মধ্যে সেনা মহড়ার কথা রয়েছে। তারপই মধ্যে কিমএর এই অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার গতি ও মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে য়ৌথ সামরিক মহড়া তীব্র হওয়ার কোরিয় উপদ্বীপে উত্তেজনা দিনে দিনে বাড়ছে। সূত্রের খবর উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে কোনও প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরের কথা রয়েছে। তার আগেই কিম গোলাবারুদের কারখানা ঘুরে দেখছেন।

গত মাসে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তিনি কিমের সঙ্গে সামরিক সমস্যা আর আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিম তাঁকে ব্যালাস্টিক মিসাইল ড্রোনের সম্ভার দেখিয়েছিলেন বলেও মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কোরিয় যুদ্ধের সমাপ্তির ৭০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২৭ জুলাই পিংয়ইয়ং আয়োজিত একটি বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন। তাতেই মনে করা হচ্ছে রাশিয়া আর উত্তর কোরিয়া কাছাকাছি আসছে।