সংক্ষিপ্ত
প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল সমস্যা না মেটানোর জন্য চিঠিতে মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন লাদেন।
ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইনের যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের নেতা ওসামা বিন লাদেনের (Osama Bin Laden) চিঠির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। এর পরেই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে তৈরি হয়েছে জল্পনা। আমেরিকাকে উদ্দেশ করা সেই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেটিতে ৯/১১-র হামলাকে সমর্থন করার পাশাপাশি ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন আল কায়দা প্রধান।
-
জানা গেছে, জঙ্গিনেতার চিঠিটি লেখা হয়েছিল ২০০১ সালের মার্কিন হামলার পর। আমেরিকার মাটিতে ওটাই ছিল সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা। হামলাকে মান্যতা দেওয়ার দেওয়া হয়েছে ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তাও। প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল সমস্যা না মেটানোর জন্য চিঠিতে মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন লাদেন।
-
খৃষ্টান মানুষদের রক্ত দিয়ে মার্কিন ঔদ্ধত্যের জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন লাদেন। ২০২৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত নিয়ে ইতিমধ্যে ইজারায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। সেই সঙ্গে সমস্ত ধরনের সামরিক সাহায্যও দেওয়া হচ্ছে। গাজায় ইজরায়েলি সেনার হামলায় শিশু সহ হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক মারা যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেন লুকিয়ে আছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর পায় মার্কিন সেনাবাহিনী। এরপর সেই বাড়িতে চালানো হয় অভিযান। আল কায়দা প্রধানকে খতম করা হয়ে গেছে বলে দাবি করেছিল আমেরিকার সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে লাদেনের চিঠির ভিডিয়ো ফের একবার প্রকাশ্যে আসাকে যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
-
২০০২ সাল থেকে আমেরিকার একটি প্রথম শ্রেণির সংবাদমাধ্যমে ওয়েবসাইটে ওসামা বিন লাদেনের চিঠি নথিভুক্ত ছিল। কিন্তু ভাইরাল হওয়ার পর ওয়েবসাইট থেকে তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিঠিগুলি আচমকা সরিয়ে দেওয়ার ফলে প্রকাশিত চিঠির ভিডিয়োগুলি নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ আরও বেড়েছে বলে জানা গেছে। তবে, ওয়েবসাইট থেকে চিঠিগুলি সরিয়ে ফেলা নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তরফে কোনও কারণ জানানো হয়নি।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।