সংক্ষিপ্ত

করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হতেই চিনে ফের চড়চড়িয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। এই সংক্রমণ ঠেকাতেই এবার দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল সরবরাহ বাড়ানোর বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে চিন।

করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করে ফের বিপাকে চিন।গত তিন বছর ধরে চিনে চলেছে লোকডাউন। সংক্রমণের হার কমলেও কমছিলো না চিনা জনসাধারণের উপর প্রশাসকমণ্ডলীর কড়া বিধিনিষেধ। এই জুলুমবাজি সহ্যের সীমা ছাড়ালে একসময় জনগণ প্রতিবাদে নাম রাস্তায়। সারা চীন জুড়ে চলে বিক্ষোভ। অবশেষে এই আন্দোলনের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ জিং পিংএর সরকার করোনা বিধিনিষেধে আনে শিথিলতা। বিধিনিষেধ শিথিল হতেই চিনে ফের চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণের হার। এই সংক্রমণ ঠেকাতেই এবার দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল সরবরাহ বাড়ানোর বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে চিন। এবার চীনের কাছে মজুত থাকবে জ্বর, সর্দি , কাশি ছাড়াও করোনার অতিরিক্ত ভ্যাকসিন ও ওষুধ।

বৃহস্পতিবার চিন তার কঠোর 'জিরো কোভিড' নীতি শিথিল করেছে। এই 'জিরো কোভিড' এর শিথিল সংস্করণ বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ পদক্ষেপও নিয়েছে চিনা প্রশাসন।উপসর্গহীন বা হালকা কোভিডের জন্য জারি করেছে বিশেষ নির্দেশিকা। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া একটি সরকারি বিবৃতিতে বলে যে যেসব রোগীদের হালকা লক্ষণ দেখা দিচ্ছে তারা যেন বাড়িতেই পৃথক কক্ষে থেকে নিজেদের করান। হাসপাতালে ভর্তি হবার প্রয়োজন নেই।

কোভিডবিধি শিথিল করতে গিয়ে চীনের জনসাধারণ এমন একটা পরিস্থিতি ডেকে আনলো যা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বসে দিলো আবার।গোদের উপর বিষফোঁড়া ওমিক্রন। করোনার সঙ্গে ওমিক্রনের চোখরাঙানিও কোথাও ফের লোকডাউনের পূর্বাভাস দিচ্ছে চিনে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থা ফের চালু করছে চীন প্রশাসন ।

অন্যদিকে ওষুধের আকাশছোঁয়া চাহিদার কারণে প্রয়োজনীয় ওষুধের দামও বেড়েছে অনেক।