সংক্ষিপ্ত

১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্সের ঐতিহ্যপূর্ণ বাস্তিল দিবস অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। ফ্রান্সের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটি।

 

দুই দিনের ফ্রান্স সফরে বৃহস্পতিবার প্যারিসে পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামিকাল অর্থাৎ ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্সের ঐতিহ্যপূর্ণ বাস্তিল দিবস অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। ফ্রান্সের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটি। বিশ্বব্যাপী এই দিনটির ঐতিহাসিক তাৎপর্যও রয়েছে।

বাস্তিল দিবস

১৭৮৯ সালে ১৪ জুলাই ফরাসি বিপ্লবের সময় ফরাসী জনগণ একত্রিয় হয় বিখ্যাত বাস্তিল দূর্গের পতন করেছিল। ধূলিস্যাৎ করেছিল ফ্রান্সের রাজতন্ত্রের দর্প। ফরাসী বিল্পবের গতিসূচক হিসেবে চিহ্নিত বাস্তিল দিবস। ফ্রান্সের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে মৌলিক পরিবর্তন এনেছিল এই বিশেষ দিনটি। এই দিনটির জন্যই এখনও বিখ্যাত হয়ে রয়েছে 'সাম্য ভাতৃত্ব ও সৌভ্রাতৃত্ব'এর স্লোগান। বাস্তিল দূর্গ ছিল ফরাসী রাজতন্ত্রের অত্যাচারের প্রতীক। জনগণও অত্যাচারী রাজা ষোড়শ লিউ আর রানি মেরি আতোনায়েককে কঠোর সাজা দিয়েছিল।

বাস্তিল দূর্গের পতলের পর ফ্রান্সে রাজতন্ত্র থাকলেও জনজীবনে ব্যাপক পরিতবর্তন এসেছেন। তারণ গণঅভ্যুত্থানের ফলে চাপে পড়ে ষোড়ল লুই এস্টেট জেনারেল তলব করেছিল। এই সংস্থাটি পাদরি (প্রথম এস্টেট), আভিজাত্য (দ্বিতীয় এস্টেট) এবং সাধারণ (তৃতীয় এস্টেট) সমন্বয়ে গঠিত। ফসারি বিপ্লবের আগে পর্যন্ত এই সংস্থায় সাধারণ মানুষের কোনও প্রতিনিধি ছিল না। কিন্তু বিপ্লবের পর সাধারণ মানুষ প্রতিনিধি পাঠাতে পারে। যান নাম দেওয়া হয় জাতীয় পরিষদ। পরবর্তীকালে এই সভা টেনিস কোর্টে শপথ নিয়ে ঘোষণা করেছিল ফ্লান্সের জন্য নতুন সংবিধান রচনা না হওয়া পর্যন্ত তারা একত্রিত থাকবে।

মোদীর যোগদানঃ

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বাস্তিল দিবসে যোগদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে তাঁর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাস্তিল দিবস অনুষ্ঠানে ২০০৯ সালে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময়ে ভারতীয় সেনা বাহিনীর ৪০০ জনের একটি দলও সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিল। সেই সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিকোলাস সারকোজি।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্রান্স সফরে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের সময় প্যারিসে পৌঁছেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফরাসী প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দেওয়া নৈশভোটে অংশ নেবেন তিনি। তবে তার আগে মোদী ফরাসি সেনেটর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নের সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ফ্রান্স সফরে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বাস্তিল দিবস উদযাপনে অংশ নেবেন। নরেন্দ্র মোদীর ফ্রান্স সফর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।