সংক্ষিপ্ত
নরেন্দ্র মোদী ও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের প্রধান এই সংকট এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। দাবি করা হয়েছে মিডিয়া রিপোর্টে।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পদক্ষেপ নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন হয়েছিল। মার্কিন কর্মকর্তাদের অনুমান ছিল মস্কো কিয়েভের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার জন্য জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাশিয়া যদি সেই সময় পারমাণবিক হামলা চালাত তাহলে সেটাই হত হিরোসিমা ও নাগাসাকির পর পারমাণবিক হামলা। প্রায় ৮০ বছর পর বিশ্ব আবারও পারমাণবিক হামলার মুখোমুখি হতে চলেছিল বলে অনুমান করেছিল মার্কিন কর্তারা। কিন্তু সেই আক্রামণ রুখে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা নাকি তেমনই জানিয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবাদনে বলা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের প্রধান এই সংকট এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মার্কিন প্রধান জো বাইডেন রাশিয়ার ভূমিকা খুবই উদ্বিগ্ন হয়েছিল। কারণ মার্কিন তথ্য অনুযায়ী সেই সময় পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলের রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই আতঙ্কের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত-সহ একাধিক দেশের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিল যে পুতিনকে পারমাণবিক হামলা নিয়ে নিরুৎসাহিত করতে। তেমনই জানিয়েছেন সিএনএন-এর প্রতিবেদেবন।
প্রতিবেদনে মার্কিন কর্মকর্তার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'আমরা যে কাজগুলি করেছিল তারমধ্যে একটি ছিল কেবল তাদের সরাসরি বার্তা দেওয়া নয়, বরং দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করা ও চাপ দেওয়া যাতে রাশিয়ারে পারমাণবিক হামলা থেকে পিছিয়ে আনা যায়।' রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। সংকট এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ করেছিলেন।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারত ,চিন-সহ একাধিক দেশের চিন্তাভাবনা রাশিয়ার ওপর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি আরও বলেন এর সপক্ষে তিনি কোনও প্রমাণ দিতে পারবেন না। কিন্তু এটি তাদের মূল্যায়ন। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারত সর্বদাই নিন্দা করেছে সাধারণ মানুষকে হত্যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। দুই দেশের প্রধানদের সঙ্গে কথা বললেও যুদ্ধে কোনও পক্ষকে সমর্থন করেনি। নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে।
যাইহোক যুদ্ধের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলেছিলেন, এটি যুদ্ধের যুগ নয়। জি-২০ সম্মেলনেও যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল ভারত।