সংক্ষিপ্ত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমে ক্রিমিয়ায় পৌঁছেছেন। এখান থেকে হঠাৎ করে হেলিকপ্টারে করে ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে পৌঁছান তিনি। পুতিন নিজে গাড়িতে করে মারিউপোল শহরের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেছেন।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেনের অনেক শহর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। বিশ্বের অনেক দেশ রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এমনকি ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি। কিন্তু এত কিছুর পরও পিছু হটতে রাজি নন পুতিন। রবিবার হঠাৎ করেই ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে পৌঁছে যান পুতিন। রাশিয়ান সেনাবাহিনী এই শহর পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে। ইউক্রেনের দোনেৎস্ক রাজ্যের অন্তর্গত শহরটি গত বছরের মে মাস থেকে রাশিয়ার দখলে রয়েছে।
সারা শহরে গাড়ি চালান, মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমে ক্রিমিয়ায় পৌঁছেছেন। এখান থেকে হঠাৎ করে হেলিকপ্টারে করে ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে পৌঁছান তিনি। পুতিন নিজে গাড়িতে করে মারিউপোল শহরের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেছেন। এ সময় তিনি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। মারিউপোলের সৈকতও চেক করেছেন।
জানা গিয়েছে মারিউপোলে, ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে তার সামরিক অভিযানের শীর্ষ কমান্ডের সাথেও দেখা করেছেন। রাশিয়ান নেতা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের দায়িত্বে থাকা চিফ অফ জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের সাথে দেখা করেছেন। দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন কমান্ড পোস্টে দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি
শুক্রবার ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আদালত বলেছে- পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছেন। তিনি ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণ এবং নির্বাসনের অপরাধের জন্য দায়ী। তবে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনও ওয়ারেন্টের জবাব দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি বলেছে, এটা তো শুরু মাত্র। পরোয়ানার পর পুতিনের সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ আসতে চলেছে।
এদিকে, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে গুলি করে নামানো হয় চিনা ড্রোন। দেখা যায় চিনে তৈরি এই ড্রোনের ভেতরে ২০ কেজি ওজনের বোমা রয়েছে। ফলে রীতিমত প্রশ্ন উঠছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধে চিনের ভূমিকা নিয়ে এই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। তবে এই ড্রোনটির সঙ্গে চিনা সেনাবাহিনীর কোনো যোগসূত্র ছিল কি না, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। কিংবা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে লড়াইয়ের এলাকায় চাইনিজ ড্রোন থেকে এত বেশি পরিমাণ বিস্ফোরক কে পাঠাচ্ছিল তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে রহস্য রয়েই গিয়েছে।