সংক্ষিপ্ত
এদিকে বুধবার, দক্ষিণ-পশ্চিম কাবুলের কালা বক্তিয়ারপারায় তাঁর দফতরে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায় এক ব্যক্তি।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। মানববোমা হামলায় নিহত হলেন তালিবান সরকারের এক মন্ত্রী।
জানা গেছে, এই হামলায় দুই উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তারও মৃত্যু হয়েছে। আর এই হামলার পিছনে পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর আফগান শাখা ‘ইসলামিক স্টেট খোরাসান’(আইএসকে) রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
অন্তত তালিবান সরকার নিয়ন্ত্রিত কাবুল পুলিশের এইরকমই প্রাথমিক ধারণা। নিহত মন্ত্রীর নাম খলিল হক্কানি। তিনি আফগানিস্তান সরকারের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। শুধু তাই নয়, তালিবানের ‘পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ’অংশের নেতা হিসেবেও তাঁর বেশ পরিচিতি ছিল।
এদিকে বুধবার, দক্ষিণ-পশ্চিম কাবুলের কালা বক্তিয়ারপারায় তাঁর দফতরে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায় এক ব্যক্তি। অন্যদিকে, খলিলের ভাইপো সিরাজুদ্দিন আবার ‘হক্কানি নেটওয়ার্ক’-এর প্রধান তথা আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতা দখলের আগে গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসে দুবার হামলা চালিয়েছিল ‘হক্কানি নেটওয়ার্ক’।
তবে আপাতত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী খলিল হত্যার দায় স্বীকার করেনি। অপরদিকে, ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিজের দেশের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালাচ্ছিল আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স সহ একাধিক দেশ। সেই সময়, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আইএসকে-র মানববোমা হামলায় বহু আফগান এবং আমেরিকার সেনা নিহত হয়েছিলেন।
আর তারপর থেকেই তালিবান সরকার এবং আফগান জনতাকে নিশানা করে চলেছে তারা। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের একাংশ নিয়ে গঠিত ছিল প্রাচীন খোরাসান অঞ্চল। এদিকে আইএস-এর আফগান শাখা আবার ওই অঞ্চলকে নিজেদের নামের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।